আমি ঘূর্ণি দেখেছি,
ঘোলা জলের ফেনিল উচ্ছ্বাস আর খড়কুটোর অসহায় সমর্পণ।
আমি জলের লক্ষন্ রেখা দিয়ে ঘেরা বারুদ দেখেছি,
চৌবাচ্চার জলে কয়েকটা তাজা বোমার নিমজ্জন।
মুঠোর আবীর থেকে গিয়েছে মুঠোয়,
হাত দিয়ে পরিপাটি করে নিয়েছি উড়তে থাকা চুল।
গার্হস্থ শান্তির দোহাই দিয়ে,
খুন করেছি আমার যৌবন।
মেনে নিয়েছি শৃঙ্খলের রাজসুখ।
প্ররোচনায় কান দিইনি,
গুজব উড়িয়ে দিয়েছি,
শক্ত করেছি নিজেকে।
আর বসন্তের সন্ধ্যায় হাওয়ার পাগলামিকে,
ছেলেখেলা বলে করেছি তাচ্ছিল্য।
তা বলে ভেবোনা হেরে গেছি,
জানি ডাক আসবেই।
আর সেদিনের জন্যই,
এখনও আমি ভোররাতে সম্রাট হয়ে হাসতে পারি
পারি তিয়েনানমেন এর ট্যাঙ্ক কে জিভ ভ্যাঙ্গাতে
আর স্বপ্নগুলো হৃদয় খুঁড়ে এনে
আগুনে সেঁকে,
পারি শাসকের ঘুম ভাঙ্গাতে।