ফুলে যা প্রবাহিত মৌমাছি টেনে বের করে
ধীরে ধীরে পতঙ্গ উদরে তা ঘনীভূত হয়
মৌচাকে সোনালী সন্নিহিত তরলে তাতে শ্রম আছে,
স্নেহ আছে সমষ্টিগত ভাবে । এরকম প্রক্রিয়া প্রকৃতিতে স্বাভাবিক
দেখা যায়, পুষ্প ভেদে মধুর প্রকৃতি ভিন্নতর হয়
সব ফুল তো একসাথে থাকে না, তবে শ্রমজীবি এই
পতঙ্গদল কি করে নিজস্ব আবাসে ফেরে সেটা এক বিস্ময়
সূর্য সাপেক্ষে অবস্থান নির্ণয় অথবা মাধ্যাকর্ষণ বল সাপেক্ষে
তারা দিনশেষে মৌচাকে ফেরে মর্মে জেনেছি এতদিন
হয়তো কখনোবা জানবো মৌমাছি তারার আলোয়
পথ দেখে, না দেখা আলোর স্বরূপ চেনার মতো ।
এরকম মাঝে মাঝে ভাবি, ভাষাও তো মননে থাকে
বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও কোন বর্ণমালা নেই, ধীরে ধীরে
বিভিন্ন মানুষে তা প্রস্ফুটিত হয়, সঞ্চিত হয়,
অবারিত থাকে অন্তর্গত আনন্দ-বিষাদে
মৌমাছির মতো মানুষ সূর্য, মাধ্যাকর্ষণ বা তারার আলোয়
পথ চিনে ফিরতে পারে না...