কবি তাঁর পরিচিত টেবিলের ওধারে
নতমুখে বসেছিলেন
তিনি জানতেন এই ক্লান্ত বিকেল
আর ভোর হবে না- তিনি তাঁর কবিতার খাতা গুটিয়ে
সেই অনিবার্য সময়ের অপেক্ষা করছিলেন
তাঁর নাকে শস্যের গন্ধ এসেছিল, তিনি দেখতে পেলেন
ভলগার পরিপাটি জল যেন এক ঈশ্বর ছান্দসিক রাজহাঁস
আস্তাবলে ঘোড়াটা ডেকে উঠলো ফের
চশমা ছাড়াই দেখলেন গীর্জার বিষন্ন চুড়া
এবং এক ক্লান্ত বৃদ্ধা- মেটে রঙের আকাশের পটভূমিকায়
একজন গৃহস্ত দরদাম করছে লবণ বিক্রেতার সাথে
তাঁর স্বপ্নের স্তেপ-
তিনি দেখতে পেলেন সাইবেরীয় বাতাস তুলে নিয়ে গ্যালো
ক’টা বার্চের পাতা ছেঁড়া সোয়েটার গায়ে কেঁদে উঠলো ক্ষুধার্ত শিশু
ল্যাম্পপোস্টের ম্লান আলোয় একটা জুড়িগাড়ি এসে থামলো তাঁর উঠোনে
কবি মৃদু হাসলেন