তুমি ও তোমার সমাজ নিয়ে আর কিছু বলবো না
বিদ্রোহী ভাব নিয়ে প্রতিবাদ করে লিখবোনা কবিতা
তোমরা যা ভালো মনে করো তাই করো এই সমাজে
সভ্য সমাজের কষ্টের অনুভূতি তুমি বুঝবেনা সবিতা।
সুজলা সুফলা এই মাটির নীরব ভাষা তুমি বুঝবেনা
যে চাষীর ঘামে মাটি উর্বরতা পায় সে বুঝে এর মমতা
তোমাদের সে প্রেম ভালোবাসা নেই তোমরা পাষাণ
অনাহারীর খাবার লুটেপুটে খাও এটা কি সততা?
লাল সবুজের শাড়ি পরে মুখ ঢেকে ওরা নীরবে কাঁদে
অসহায় গরিব দুখি তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত
অন্ধত্বের ভান করে সব দেখে যাই ব্যথা বেদনা সয়ে
ধর্ষিতার চিৎকার শুনে থেমে যাই যদি হই লাঞ্ছিত।
মুক্ত আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়ায় ঐ শত শুকুনের দল
মানব আত্মা টেনে হিঁচড়ে খায় কষ্টের বীজ বুনে যায়
তোমাদের আশ্রয় পেয়ে ত্রাসের রাজ্যত্ব কায়েম করে
হাজারো মায়ের বুক খালি করে সুখে দিন কাটায়।
বাস্তবতার কথা বলবোনা বিবেকহীন মানুষের মতো
তোমারা লজ্জ্বা পাবে আলোতে মুখ দেখাতে পারবেনা
তোমাদের বিশ্রী রূপ উন্মোচিত হলে বিপদে পরবে
জনতা জেগে ওঠবে পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা।
রাত পোহাবে আঁধার কেটে যাবে ভোরের আলোতে
চোখ রাঙিয়ে আমার কণ্ঠ কতদিন স্তব্ধ করে রাখবে?
সত্য একদিন প্রকাশিত হবে ইতিহাসের প্রথম পাতাতে
প্রজন্মের ডাকে বিপ্লব হবে তোমরা হারাবে কালের গর্ভে।
তোমার অঙ্গ ভরা রূপ যৌবন একদিন হারিয়ে যাবে
কেউ তোমার পানে ভুলেও তাকাবেনা অতীত মায়ায়
আর ক্ষমতা,সেতো পদ্ম পাতার জল বাতাসে ঝরে যাবে
অহঙ্কার ছেড়ে দাও,উপদেশ দিওনা এ যামানায়।
                      (১৮/৮/২১ইং)