কালের স্রোতে সময় যে গো গড়িয়ে যাচ্ছে চলে
ভাবের মানুষ বুঝলো ভবে বুঝলে নাকো তুমি
নৈঃশব্দের দীর্ঘপথের বুকটা ভাসে বিষণ্নতার জলে
অনাদর আর অবহেলায় কাঁদে মানব ভূমি।
মনের জোরে মানব মাঠ শূন্য রেখে কই গেলে
আনন্দরা মুখ লুকিয়ে লজ্জ্বাতে আজ সব থামে
পাষাণ হিয়ার তপ্তবানে সব একাকার এক জলে
তোমার দেয়া পত্রগুলো রেখেছি সব নীলখামে।
রক্তক্ষরণ হোকনা যতই বিভাজনে তোর টানে
বিষাদসিন্ধু পাড়ী দিবো তরীর মাঝে পাল তুলে
আশায় আশায় গান রচিবো ধ্যানে মানে সবখানে
স্মরণ করবো জীবন ভরে কভূ তোমায় না ভুলে।
অতীত ভুলার যন্ত্রনাতে ব্যথা পাও কি গোপনে
রাত্রি নিশী ঘুম আসেনা সে হুস জাগে সকালে?
যার ধ্যানে শান্তি হারাম সখা তোমার ভূবনে
মাঝে মাঝে একলা বসে বুক ভাসে কি সেই জলে?
হাসির রেখায় শতেক বাঁধা পাও কি আজো নীরবে
যাকে তুমি হারিয়েছো তার তরে কি মন টলে?
রূপ লাবণ্য ধূলোয় মিশে যাবে যেদিন এই ভবে
খুঁজবে জানি আগের মতো টেনে নিতে তোর কোলে।
                       (০৬/০২/২১ইং)