[বিঃদ্রঃ সুরা আর-রহমান এর (১-৫১) আয়াতের কাব্যিক অনুবাদ করার চেষ্টা মাত্র। তাই হুবহু শাব্দিক অর্থ না মিলতে পারে। সকল প্রকার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।]


করিয়া সৃজন মানুষ সকল,
দিলেন তিনি বিবেক ও আকল।
যে করিল তোমার বাক শক্তি দান,
যাহার দয়ায় ধরণীর বুকে সকল প্রাণ।
যিনি শিক্ষা দিলেন পবিত্র কোরান,
পরম করুনাময় তিনি মহান।
অকৃতজ্ঞ হবে কি তার প্রতি?
বল হে সকল মানুষ ও জীন জাতি।


যে করিল দান ন্যায়, ওজনের জ্ঞান,
চন্দ্র, সূর্য গুনতে মশগুল সময়ের মান।
বৃক্ষরাজি ও আসমানের তারা,
তারি চরণে সেজদায় সারা।
শুষ্ক মৃত্তিকা হতে তিনি তোমাকে,
অগ্নীশিখা হতে সৃজিল জীন জাতিকে।
অস্বীকৃতি জানাবে তার কোন কৃপার প্রতি?
বল হে সকল মানুষ ও জীন জাতি।


যাহার ইচ্ছায় সমুদ্র বয়ে যায় বহুদূরে,
উভয় সমুদ্রকে দিয়েছেন তিনি জুড়ে।
তবু ওদের মাঝে রয়েছে এক অন্তরাল,
যা অতিক্রম করে না কোন কাল।
সমুদ্রের সবই চলে তারই ইশারায়,
যাহার তলদেশে মণিমুক্তা উৎপন্ন হয়।
অস্বীকার করবে তার কোন অনুগ্রহকে?
শুধাল প্রভু মানুষ ও জীন জাতিকে।


এ জগতের সব কিছুই নশ্বর,
শুধু তোমার রব যিনি অবিনশ্বর।
মহাবিশ্বের সব কিছু তার কাছে নত,
তিনি সতত নিত্য নতুন কাজে রত।
তার আদালতে অতি সত্বর,
হিসাব নিবেন প্রভু হাশর প্রান্তর।
অস্বীকার করবে তার কোন ক্ষমতাকে?
এ প্রশ্ন মানুষ ও জীন জাতিকে।


যদি পারো আসমান ফাড়ি,
পালাও তোমার রবের সীমানা ছাড়ি।
পারবেনা, পারবেনা তার অনুমতি ছাড়া,
ব্যর্থ তাঁহারা অহেতুক চেষ্টা করবে যারা।
অগ্নিশিখা, কালো ধোঁয়ার আস্তারণ,
তাদের প্রতি করা হবে প্রেরণ।
বল হে সকল মানুষ, জীন জাতি,
অস্বীকৃতি জানাবে তার কোন ক্ষমতার প্রতি?


যে দিন আসমান হবে বিদীর্ণ,
লাল চামরার মত রক্তবর্ণ।
সেদিন জিজ্ঞাসা করবেন না প্রভু,
পাপীকে চেনা যাবে তার মুখ দেখে তবু।
হিচড়ে নেওয়া হবে জাহান্নামের তরে,
অবিশ্বাসীর পা ও মাথার ঝুঁটি ধরে।
শুধাল প্রভু মানুষ ও জীন জাতিকে,
অস্বীকার করবে তার কোন ক্ষমতাকে?


এই তো সেই জাহান্নাম হে অবিশ্বাসী
কঠিন শাস্তি পাবে সেদিন সকল দোষী,
খোদার ভয়ে যার হৃদয় কম্পিত হয় ,
তার জন্য রেখেছেন প্রভু জান্নাতদ্বয়।
যাতে রয়েছে ঝর্নাধারা
বৃক্ষসমুহ, ফল, ফুল ও নেয়ামতে ভরা।
অস্বীকৃতি জানাবে তার কোন কৃপার প্রতি?
বল হে সকল মানুষ ও জীন জাতি।