নারী বলতে এখনও তোমাকেই বুঝি
প্রেম বলতেও শুধু তোমাকেই
তবু কখনও কখনও ভ্রম হয় আমার
তুমি দেবী কিংবা অপ্সরীর মতো অলীক
যাকে দেখা যায়, অনুভব করা যায়,
যার চুলের পদ্মগন্ধে মাতোয়ারা হওয়া যায়,
শুধু ছোঁয়া যায় না।
যাকে ভালোবাসতে গেলেই চকিতে
রাজদণ্ড উন্নত করে বলে দিতে পারে-
'দূরে যাও পুরুষ, সেবক নিকটে এসো ব্রহ্মচারী '।
অথচ অন্য কোনো সময় তুমি
অন্য যেকোনো নারী
চাইলেই ভালোবাসা যায়,
ছোঁয়া যায় ইচ্ছে মতোন
মনে হয় চাইলেই ভালোবাসতে পারো যখন তখন
কখনও আবার অবহেলায় সরিয়ে দাও
শত আলোকবর্ষ দূরে।
আমি দ্বিধান্বিত হয়ে যাই-
শত সেবকের মহার্ঘ্য পড়ে থাকে তোমার পায়ের কাছে
শত পুরুষের অঞ্জলি ছড়িয়ে থাকে তোমার চারপাশে।
তবুও তো মনের গভীরে ইচ্ছে থাকে
অলীককে ছুঁয়ে দেখবার,
সূর্যকে যেমন ছুঁতে চায় সূর্যমুখী।
শত পুরুষের কামনাকে পদদলিত করেছ তুমি নারী
শত সেবকের অর্ঘ্য দেবীরূপে করেছ উপহাস
কত না হৃদয়ে ফুটিয়েছ রক্তকরবী
আবার কত কত দিন অপেক্ষায় থেকেছে
কারো হাতের বিষণ্ন বকুল।
এইসব ভেবে ভেবে ইতস্তত পুরুষ
তবু সাহস করে একদিন গিয়েছি দুরুদুরু পায়ে,
কিছু কৃষ্ণচূড়া ছিলো বসন্তের শেষ সম্বল
সর্বস্ব বাড়িয়ে দিয়ে বলেছি-
'তব গ্রহণে কৃতার্থ হই'।
অথচ তখন তুমি দেবী অথবা নারী,
হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে দাঁড়ালে নদীর ছায়ায়
গোধূলীর থেমে থাকা অস্পষ্ট আলোয়-
তোমার এক হাতে মঞ্জুরিত লাল কৃষ্ণচূড়া,
অন্য হাতে শত শত রক্তাক্ত হদয়...
নারী বলতে এখনও তোমাকেই বুঝি,
দেবী বলতেও শুধু তোমাকেই।