বাংলা তথা ভারতবর্ষের ক্রমবর্ধমান ধর্ষন , খুন  ইত্যাদি প্রতিনিয়ত অসামাজিক হিংসাত্মক ঘটনায় আতঙ্কিত এক বালিকা মনের অশান্ত ভয়ার্ত অবস্থা কল্পনা করে এই কবিতা -


*** ছোট্ট চাওয়া ***
   তন্ময় দে বিশ্বাস


সাপুড়ে তুই সাপ খেলাবি ? দু চার আনা পয়সা পাবি -
খোলনা তোর ঐ সাপের ঝাঁপির ঢাকনা ,
ডুগডুগিটা ডুগডুগিয়ে - কি যে বলিস ফুসফুসিয়ে ?
তর সয়না , সাপ গুলোকে ডাকনা -


মুদ্রা করে পাঞ্জা হাতের , কি করে বশ মানাস ওদের -
সাপখেলানোর মন্ত্র কি তোর জানা ?
বিষাক্ত ঐ সাপের কামড় , কি করে তুই করিস আদর !
মা করেছে কাছে যেতেই মানা ।


সাপুড়ে তুই মিষ্টি সোনা , শেখাবি তোর মন্ত্র খানা ?
বলবো মা আর দিদির কানে কানে -
বদমাশ রা আসবে যখন , ছোবল দেবে মনের মতন -
মরবে নাকো ধর্ষনে আর প্রাণে ।


নয়তো সাপের চোয়াল ঠুসি, বিষগুলো ভর একটা শিশি -
ঢালবো মা আর দিদির রক্তশিরায়,
আসবে যারা কুমতলবে, এক কামড়ে প্রাণ খোয়াবে-
মা দিদিরা সসম্মানে বাঁচবে এ ধরায় ।


ভাবছিস তুই বাচ্ছা আমি? করিস নাকো এই বোকামি-
মেয়ে হলে বাচ্ছা বুড়ো নেইকো ছাড়-
মা আর দিদি রোজই বলে, মেয়েরাই তো সমাজ গড়ে-
সেই সমাজের কাছে কেন মানবো হার !


তাইতো কিনি সাপের ফণা, দিচ্ছি তোকে দু চার আনা-
ভয়ে ভয়ে বাঁচা খুবই কষ্টকর -
কি সুন্দর পৃথিবীটা- কত আলো রঙের ছটা,
নির্ভয়েতে বাঁচতে হবে জীবনভর-
সবার মতো বাঁচতে হবে জীবনভর ।।
*=============:==========*