***  আমার তুমি ***
                                তন্ময় দে বিশ্বাস


এই প্রথম তোমায় দেখলাম -
মনে হোলো যেন কতকালের চেনা তুমি ,
আমার মনের মনিকোঠায় যে মুখ
এঁকেছি আমি প্রতিক্ষণ - বারেবারে -
সেই চোখ, সেই হাসি - চিবুকের তিলটাও,
একেবারে ঠিক তেমন -
যেমন তোমায় দেখেছিলাম অলক্ষে -
অদ্ভুত চাহনিতে প্রশ্ন করেছিলে -কেমন আছো ?
কিংকর্ত‍্যব্যবিমূঢ় আমি -
বিস্ফারিত চোখে দেখছিলাম তোমায় -
এত রূপ দেখিনি জীবনে আমি -
কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েই বলেছিলাম - ভালো আছি,
মুখটিপে হেসেছিলে তুমি -
টোল পড়েছিলো দু গালে -
গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট দুটো তোমার -
কাঁপছিলো ইতস্তত,
জানিনা আমার দৃষ্টিভ্রম কিনা,
কপালে চাঁদের মতো গোল টিপ জ্বলজ্বল করছিলো -
মায়াবি চোখগুলো, ভালোবাসায় রাঙানো -
দুজনে বসেছিলাম - পাশাপাশি-
ছাতিম গাছের গোড়ায় - বাঁধানো চত্ত্বরে,
তুমি বলছিলে অনেক কথা-
শুনতে পাইনি কিছু আমি ,
শুধু দুচোখ ভরে দেখছিলাম তোমায় -
সাগরের বুক থেকে উথলে ওঠা ঢেউ এর মতো -
তোমার রূপ আছড়ে পরছিলো আমার বুকে -
আমি স্থবির হয়ে অনুভব করছিলাম তার রেশ,
আমার সকল স্নায়ু কোষ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো,
তুমি সেটা বোঝোনি -
স্নিগ্ধ বাতাসের মতো ছুঁয়ে ছিলে আমায়,
তোমার সুবাসে চারিপাশ ছিলো সুবাসিত -
সেই গন্ধ এখনো আমার কোষে -
ছাতিম গাছটা যেন - তোমার থেকে গন্ধ ধার করে-
ছড়িয়ে দিচ্ছিলো বাতাসে -
তুমি গান গেয়েছিলে - " ভালোবাসি ভালোবাসি "
এইভাবে কতক্ষন তোমায় ছুঁয়েছিলাম জানিনা -
সূর্য ঢলে গিয়েছিলো পশ্চিমে -
তুমি বললে - এবার যাবার পালা ,
আমি যেন কোন শূন্যতায় ডুবে গেলাম,
তুমি উঠে দাঁড়ালে , বললে - আসি ,
আমি মানতে পারছিলাম না তোমাশূন্যতা,
সারাটা জীবন এভাবে কাটাতে পারলেই -
জীবন পূর্ণ হোতো -
বুকের মধ্যে - ঠিক বাঁদিকটা চিনচিন করে উঠলো -
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম -
আমি যেন অতলে তলিয়ে যাচ্ছি -
যন্ত্রনা বুকে চেপে আমি মাথা নিচু করে নিলাম -
তোমার বিদায় আমি দেখতে পারবোনা -
বুকের ব্যথাটা আস্তে আস্তে বাড়ছে ----