উত্তরে কেউ নেই,
দক্ষিণে সাগর।
পূর্বে ভেঙ্গেছে ঘর,
পশ্চিমে মাজার।
রুদ্র মরুভূমি একাকী চলেছি পথ,
আমি এক যাযাবর।
বরফ জমে যায় আল্পসের মিনারে,
কুয়াশা ছুঁয়ে যায় দেবদারু পাইনের।
দেখেছি পদ্মা, ধূসর সাহারা।
দেখেছি নীলনদ, বৈশাখে রমনা।
শ্রাবণের বৃষ্টিতে কষ্ট মুছেছি,
মন ভোলা বাউলের একতারা শুনেছি।
উত্তাল ঢেউয়ে গা ভাসিয়েছি,
নদীর বক্ষ চিরে।
ধ্বংস দেখেছি, দেখেছি উল্লাস।
দেখেছি নৃত্য, ক্ষুধার্ত শিশুর দেখেছি মৃত্যু।
দেখেছি জন্ম, দেখেছি যুদ্ধ,
দেখেছি অনেক গৃহহীন বৃদ্ধ।
দেখেছি বাংলার রক্তে রাজপথ,
দেখেছি খরায় ক্ষুধার্ত হাহাকার।
শীতল বাতাসের ঝড় দেখেছি,
দুখিনী মাকে মা বলে ডেকেছি।
পথ হারা যুবকের গল্প শুনেছি,
পথ চেয়ে বসে থাকা
তরুনীর দুচোখ ভরা হাজারো কথা ঝরতে দেখেছি।
বাবার কাঁধে একমাত্র সন্তানের লাশ
অগ্নিশিখা হয়ে ঝলসানো সংসার।
রুদ্ধ হৃদয় একাকি বয়ে যাই জীবন সংগ্রামে।
কিছু নেই, কোথাও নেই,
শুধু এক ভূখন্ড।
ভুলেছি সব চলছি একা তাই,
হয়ে এক যাযাবর।