বেশ কিছু বছর পরে,
তোমার গন্তব্যের পথ খুঁজে পেলাম।
আকাশ, সমুদ্র, শ্রাবনের মাঠ
সবই যেন আনন্দের সাজে সেজেছে আমারই সাথে।
রাখালের বাশির সুরে হঠাত যেন মুখরিত পাখিদের উৎসব।
একটি স্নিগ্ধ বাতাস এসে আমার চুল ছুঁয়ে গেল।
হঠাত এক রাশ উন্মাদনা কেন হৃদয় গহ্বরে।
পৃথিবী এতো উদার কেন আজ।
চলছি ছুটে পথ , সবই অচেনা।
মেঠো পথের ধূলায় মিশে যায়,
রোদ্র করোটি ঝড়া ঘাম।
আর কতো দূরে
আর কতো দূরে তোমার পথ।
ঠিক যখন ধূসর গোধূলী,
আমি তখন বহুদুর চলে আসা ক্লান্ত পথের শেষে।
দুরের মেঘেরা শিরিশের গা ছুঁয়ে যায়।
সারাদিনের ভবঘুরে পাখিরাও ফিরছে দলে দলে।
পশ্চিমাকাশে সূর্যের রক্তের ফোটা।
খুব যত্ন করেই পৃথিবী হারিয়ে যাবে আঁধারের ছায়ায়
চারিদিক যেন ধীরে ধীরে নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সমস্ত কোলাহল যেন মিলিয়ে যাচ্ছে আঁধারে
আর দূর হতে ভেসে আসছে,
ছয় বেহারার হৃদয় কাঁপানো ধ্বনি-
হুন হুনা হুন হুনা-------
জমির আল ধরে
কোন সে বধূয়া যায় পালকিতে চরে।
কোন সে তরুনীর যৌবন শৈশবে বেজে উঠলো বাশর সানাই।
হঠাৎ করেই
চারিদিক থমথমে কেন?
আমার হৃৎপিণ্ড কেন আঘাত করছে আমাকেই।
শিরায় শিরায় কেন রক্তের ভয়াবহতা,
সেই থেকে আমার প্রিয়ার
কোন সংবাদ জানিনা।
গিয়েছিলো সেদিন
কোন সে বঁধূয়া