ঋতুচক্র
- তামান্না ফেরদৌস
কেমনে রচিবে সে ফাল্গুনকাল
যাহা রয়ে যায় ধীরে, ঋতু পরিবর্তনের স্বরে, পরিণতিবোধে?
তবুও হেথায়, বাতায়নে বয়ে যায়
মৃদুমন্দ মলয়, ঘাসের লতায়, সবুজ পাতায়
আমি তাকিয়ে থাকি
শুধাই যেন তারে, কতদিন পরে এখানে ছায়ারা
জেগে ওঠে ছায়ারা, ছায়াদের ঘরে।
আমি ছুঁতে চাই সে আলো অন্ধকারে
যা মনের ভেতর রোদ, আলো বা অন্ধকার
সদ্যজাত হাতে তার ছুঁয়ে থাকে আঙ্গুল আমার
যে বসুধা, তারে ধারণ করে
তার ক্ষুদে মুঠো, আমার হাতের ভেতর
বাইরে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস
তার ক্ষুদে হাতে, তার ক্ষুদে মুঠির
ছুঁয়ে থাকে যেথা, নুয়ে থাকে সময়
আমি ছোট ছোট সে হাতের ভেতর
পুরে রাখি হাওয়াই মিঠাই
হাতের মেহেদী পাতার ভিজে কাঁচা রং
আর এখন
সহজাত সুন্দর সে হাতে , স্বাভাবিকতায়
লিখে যায় জগতের তর
আমার ভেতর নিয়ে তার, জগতের অভ্যন্তর
Shifting Gears
How can she be old enough
To have a Learner’s Permit?
Yet here we are , parked in our driveway
Her behind the wheel, anxious to begin
I tell her
Learn the feel of the gear pattern
How each one clinks into its slot
As my hand guides hers
Scenery flashes by;
Her just born hand clutching my finger
The world she holds onto
Her pint sized hand seizing mine
When thunder rumbles overhead
Her grubby hand tugging me
toward
Some treasures she’s found;
her slender hand resting in mine
Fingers spread as I brush on
her first nail polish (Cotton candy pink
And now
this efficient,confident hand
of a girl starting her journey
away from me
Shifting into her future
Barbara blanks
http://www.austinpoetrysociety.org/
রংধনু মেঘবালকের মেঘপিয়ন (২্য়)
"একটা বাগানবিলাসের গাছ | অসম্ভব সুন্দর বর্ণিল পাতা, নানান রঙের বর্ণাঢ্য সমাহার | এরকম ভাবতে তোমার কেমন লাগে?"
"ভয়ে বলবো না নির্ভয়ে?"
"ভয়েই বল না হয় !"
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্যানেলের কথা মনে হয় | স্টুটগার্ট থেকে রবিবাবু লিখলেন ," মধুর তোমার শেষ যে না পাই ," সে নিয়ে কোন ক্যান্টিনে যে কি মেনু, তা নিয়ে তো তোমার আমার ইহুদি মেনুহিনে | তোমার ছিল মোজার্ট চল্লিশ, আশা পারেখ "ইতনা না মুঝসে" বলার আগেই আমার ইডলি দোসা | আর কিছু?"
"আমি একটা গ্রীন হাউস তৈরী করবার স্বপ্ন দেখি | আর রয়েল লুইকে চিঠি লিখবার |"
"প্রথমটি বুঝলাম | দ্বিতীয়টি কেন?"
"খুব দ্রুত বড়ো হয়ে ওঠে যে ! কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানোর মতো স্বার্থপর মনে হয় সারা পৃথিবীটাকে | শৈশব বাবার না মায়ের , বলো তো !"
"ভয়ে বলবো না নির্ভয়ে?"
এই বার পুন্যা তাকাতে বাধ্য হলো | সৃজনশীল রাজ্যের পিজ্জা প্রশ্নোত্তরের মত প্রশ্নোত্তর আসছে তো আসছেই !
"এই প্রশ্ন কেন?"
"বাড়িটি কোন বাড়ি তার ওপরে বাবা মা পর্যন্ত নির্ভরশীল হতে পারেন জানো?"
"শ্বশুরবাড়ী ভাবছিলে? ভাবনার সময় শ্বশুর দেবর ননদ ধরে ভাবনা আসে নাকি ? ওখানে গঞ্জ দেখবে | বদরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, হবিগঞ্জ,মুন্সীগঞ্জ ইত্যাদি | বক্তা কখনোই মুখ খুলবেনা তাঁর নিজের সুনাম ধোপাবাড়ি গেছে কিনা, এ বিষয়ে | হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে নাম দেবে , মান দেবে | তার আবার বিভিন্ন নাম রয়েছে | এপাশে ধরো "আয় তবে সহচরী", ওপাশে "শোন মা আমিনা ," দুজনকেই সম্মানে সমমানে বিভিন্ন উচ্চ শাখায় বাবুই পাখীর বাসায় গতবছরের দোলে চড়িয়ে দেবে | ইংরেজী ভাষা এরই নাম দিচ্ছে " bare bodkin ," অথবা " bare ruined choir ", ওখানে পাখিদের পাপাত্মা বাস করেনা, ওখানে তাঁরা কলাবেণী করেন | বেনিয়া ঘেঁষা হয়ে উঠলে সে বেনিয়াসহকলার বেশ কষ্ট হয়, জানো বোধহয়!"
"তুমি তো বিদ্যার জাহাজ ! এতো কিছু জানো ?"
"বিদ্যার্থী যে! নাহলে তো বিদ্যা ভারতী হয়ে বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়তাম , ছাদনাতলা আঁক দেবে বলে! "
"খুব সাধারন কিছু থেকে শুরু করা যায় , ধরো স্টুটগার্টে রবিবাবু ব্রেকফাস্টে মনে মনে শান্তিনিকেতনের কোন গাছটায় দোলনায় চড়ে দোল খেতেন, এই বিষয়ক | কেমন দেখায় ?"
"ভালোই, তবে কার্পেন্ট্রি ক্লাসে ধরে নিয়ে যায় | রবিবাবুর কি আলুর দোষ ছিল ?"
" আলু বিষয়ে তোমায় গর্ভস্থ কান্ড থেকে বুঝতে হবে | আলু কোথায় কোথায় এবং কেনই বা বাল্বে |"
"তুমি পাটি পেতে বারান্দায় বোসো | আমি গর্ভস্থ ও প্রকান্ড সব রকম কাণ্ডই বুঝতে চাচ্ছি |"
"তথাস্তু" |
https://youtu.be/vi1ISJdJdog
পাদটিকা : রংধনু মেঘবালকের মেঘপিয়ন একটি গদ্যকবিতার গ্রন্থাকারে প্রকাশ করবার পূর্বপ্রয়াস | প্রতিটি কবিতায় ধারাবাহিকভাবে একটি মনস্তাত্ত্বিক দৃশ্যপট যা আশ্রিত এবং ভগ্নাংশে | তবে সুস্থিতি রেখে এবং দৃশ্যায়নে সভ্যতার কিছু কিছু সংলাপ সিঁদুর, শিবমন্দির বা সিদ্ধ এসব ভাবনার বাইরে |
চলুন এগোই |
রংধনু মেঘবালকের মেঘপিয়ন (৩য়)
অধ্যাপক ক্লাস শুরু করলেন ,
ছন্নছাড়া |
অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত
গলির মোড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে
গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া —
আঁকাবাঁকা শুকনো কতকগুলি কাঠির কঙ্কাল
শূন্যের দিকে এলোমেলো তুলে দেওয়া,
রুক্ষ রুষ্ট রিক্ত জীর্ণ
লতা নেই পাতা নেই ছায়া নেই ছাল-বাকল নেই
নেই কোথাও এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি
এক বিন্দু সরসের সম্ভাবনা |
ওই পথ দিয়ে
জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি ক’রে |
ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না |
দেখছেন না ছন্নছাড়া ক’টা বেকার ছোকরা
রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে–
চোঙা প্যান্ট, চোখা জুতো, রোখা মেজাজ, ঠোকা কপাল–
ওখান দিয়ে গেলেই গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে,
বলবে, হাওয়া খাওয়ান |
ওরা কারা ?
চেনেন না ওদের ?
ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের –এক নেই রাজ্যের বাসিন্দে |
ওদের কিছু নেই
ভিটে নেই ভিত নেই রীতি নেই নীতি নেই
আইন নেই কানুন নেই বিনয় নেই ভদ্রতা নেই
শ্লীলতা-শালীনতা নেই |
ঘেঁষবেন না ওদের কাছে |
কেন নেই ?
ওরা যে নেই রাজ্যের বাসিন্দে–
ওদের জন্যে কলেজে সিট নেই
অফিসে চাকরি নেই
কারখানায় কাজ নেই
ট্রামে-বাসে জায়গা নেই
মেলায়-খেলায় টিকিট নেই
হাসপাতালে বেড নেই
বাড়িতে ঘর নেই
খেলবার মাঠ নেই
অনুসরণ করবার নেতা নেই
প্রেরণা-জাগানো প্রেম নেই
ওদের প্রতি সম্ভাষণে কারু দরদ নেই–
ঘরে-বাইরে উদাহরণ যা আছে
তা ক্ষুধাহরণের সুধাক্ষরণের উদাহরণ নয়,
তা সুধাহরণের ক্ষুধাভরণের উদাহরণ–
শুধু নিজের দিকে ঝোল- টানা |
এক ছিল মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে ফালতু এক রক
তাও দিয়েছে লোপাট ক’রে |
তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে |
কোথ্বকে আসছে সেই অতীতের স্মৃতি নেই |
কোথায় দাঁড়িয়ে আছে সেই বর্তমানের গতি নেই
কোথায় চলেছে নেই সেই ভবিষ্যতের ঠিকানা |
সেচ-হীন ক্ষেত
মণি-হীন চোখ
চোখ-হীন মুখ
একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তুপ |
আমি বললুম, না ওদিক দিয়েই যাব,
ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট |
ওদের কাছাকাছি হতেই মুখ বাড়িয়ে
জিজ্ঞেস করলুম,
তোমাদের ট্যাক্ সি লাগবে ? লিফট চাই ?
আরে এই তো ট্যাক্ সি, এই তো ট্যাক্ সি, লে হালুয়া
সোল্লাসে চেঁচিয়ে উঠল ওরা
সিটি দিয়ে উঠল
পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি চল পানসি বেলঘরিয়া |
তিন-তিনটে ছোকরা উঠে পড়ল ট্যাক্ সীতে,
বললুম কদ্দুর যাবে |
এই কাছেই | ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড় ?
সিনেমা না, জলসা না, নয় কোনো ফিল্মি তারকার অভ্যর্থনা |
একটা নিরীহ লোক গাড়িচাপা পড়েছে,
চাপা দিয়ে গাড়িটা উধাও–
আমাদের দলের কয়েকজন গাড়িটার পিছে ধাওয়া করেছে
আমরা খালি ট্যাক্ সি খুঁজছি |
কে সে লোক ?
একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি |
রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে গেছে |
ওর কেউ নেই কিছু নেই
শোবার জন্য ফুটপাথ আছে তো মাথার উপরে ছাদ নেই,
ভিক্ষার জন্য পাত্র একটা আছে তো
তার মধ্যে প্রকান্ড একটা ফুটো |
রক্তে মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে
ওরা পাঁজাকোলা করে ট্যাক্ সির মধ্যে তুলে নিল |
চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে –আনন্দে ঝংকৃত হয়ে–
প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে |
রক্তের দাগ থেকে আমার ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে গিয়ে
আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি |
তারপর সহসা শহরের সমস্ত কর্কশে-কঠিনে
সিমেন্টে-কংক্রিটে |
ইটে-কাঠে-পিচে-পাথরে দেয়ালে-দেয়ালে
বেজে উঠল এক দুর্বার উচ্চারণ
এক প্রত্যয়ের তপ্ত শঙ্খধ্বনি–
প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে
সমস্ত বাধা-নিষেধের বাইরেও
আছে অস্তিত্বের অধিকার |
ফিরে আসতেই দেখি
গলির মোড়ে গাছের সেই শুকনো বৈরাগ্য বিদীর্ণ ক’রে
বেরিয়ে পড়েছে হাজার-হাজার সোনালি কচি পাতা
মর্মরিত হচ্ছে বাতাসে,
দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠছে ফুল
ঢেলে দিয়েছে বুকের সুগন্ধ,
উড়ে এসেছে রঙ-বেরঙের পাখি
শুরু করেছে কলকন্ঠের কাকলি,
ধীরে ধীরে ঘন পত্রপুঞ্জে ফেলেছে স্নেহার্দ্র দীর্ঘছায়া
যেন কোনো শ্যামল আত্মীয়তা |
অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম
কঠোরের প্রচ্ছন্নে মাধুর্যের বিস্তীর্ণ আয়োজন |
প্রাণ আছে, প্রাণ আছে– শুধু প্রাণই আশ্চর্য সম্পদ
এক ক্ষয়হীন আশা
এক মৃত্যুহীন মর্যাদা |
সমস্ত ক্লাস নিশ্চুপ | অধ্যাপক চশমা খুলে চশমার কাঁচ মুছছেন |
পাঠক , এই খানে আমরা সত্যি একটি বিরতি চাই | সব্যসাচী নজরুল কে ধরে আনতে, উনি না থাকলে বক্তব্যটি পুরোপুরি অধ্যাপকের ব্যক্তিগত সময় কে ফাঁসিয়ে দিতে পারে |
তবে উনি ফজর আলীর সাথে দেখা করবেন শিগগিরই , কথা দিয়েছেন |
আপনারাও আমন্ত্রিত |
https://youtu.be/Pgs-LaWyUJI?si=CUCI_8jCCG5jXlgX
https://youtu.be/GRgizGogs7M?si=CKJlJOwk2D4zvIVa
https://youtu.be/8hEtGTszgU0
https://youtu.be/QiUaMQid5ek?si=_cM1cSGKUEnbfokc
পূর্বকথা : প্রশ্নটি খুব কমন , সাধারণ | তবে সা কে সাধারণ ভাবে ধারণ করা সাধারণ কাজ নয় |
কোনটি সাধারণ ?
ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের –এক নেই রাজ্যের বাসিন্দে |
ওদের কিছু নেই
ভিটে নেই ভিত নেই রীতি নেই নীতি নেই
আইন নেই কানুন নেই বিনয় নেই ভদ্রতা নেই
শ্লীলতা-শালীনতা নেই |
ঘেঁষবেন না ওদের কাছে |
কেন নেই ?
ওরা যে নেই রাজ্যের বাসিন্দে–
ওদের জন্যে কলেজে সিট নেই
অফিসে চাকরি নেই
কারখানায় কাজ নেই
ট্রামে-বাসে জায়গা নেই
কোনটি সাধারণ ?
কেন নেই ?
অধ্যাপক বোর্ড এ প্রশ্ন দুটি লিখলেন |
https://www.poetryfoundation.org/poetrymagazine/poems/55290/sunflowers
তিনি প্রশ্ন দুটি নিচ্ছেন |
অন্ধকার রুমে প্রজেক্টর চলতে শুরু করল |
@warefquba: “Syrian-German film director & visual artist
Takrar or Repetition is an #experimental #shortfilm that celebrates the timeless and intricate beauty of ancient craftsmanship. FilImed in #istanbul , the film takes us on a mesmerizing journey into the past, paying homage to Islamic, Ottoman, Greek, and Byzantine art forms.
Interview with Antoine Entabi and Waref Abu Quba on SYRIA TV, talking about the movie and the award.
(দ্বিতীয় পর্ব )