রান্না , খাদ্য পুষ্টি বইটার কভার
এর অব্যবহিত পরেই একজন পরিশীলিত গৃহবধূর রেখাচিত্র।
ভদ্র , সম্ভ্রান্ত, বাংলাদেশের আদর্শ গৃহিনীদের কল্পনা করতে গেলেও,
যে সঙ্গত সংজ্ঞা কল্পনাকে সংযত করে, করে বাধ্যগত, প্রিয়তর।
বাহ্যত , কোনো চ্যুতির প্রসঙ্গ না এনে।


"আমি যখন আলুর চিপস খাই,
তখন কি আমি আদতে বলি,
আমি তোমাকে চুমু খেতে খেতে কথা বলতে চাই?" একটা অদ্ভুত প্রশ্ন।


"বিষয়টি আমাকে উন্মাদ করে তোলে।  
ক্ষুধা একটি সামগ্রিক প্রশ্ন,
কোনো অঙ্গরাজ্যের প্রসঙ্গ না এনেও,
তোমার কি তাই মনে হয়না ?"


আমার মুখে কথা যোগায়না।
তুমি নেহায়েতই ছেলেমানুষ।
আমি তার না আঁচড়ানো চুলে হাত রাখি।


সে পূর্ণমাত্রায় আমার দিকে তাকায়।
তার দৃষ্টিতে আসলেই ক্রুদ্ধ মুহূর্ত ছিল।


সংসারে মেয়েদের মান ওঠেনা কেন বলতো?
পূর্ববর্তী যুগের আইয়ামে জাহিলিয়াত শেষ হয়নি বলে।


কিন্তু কেউ জানে নি ,
কেবলমাত্র, মুহাম্মদের উট কেন জানে, ওটা শুধুই  একটা স্টান্টম্যানশীপ ছিল,
ওটা অন্য ব্যাখ্যায় আসবে, তা সময়ের ব্যাপার মাত্র !


তুমি কি জানো, আমি কাঁদছি ! চোখের জলে কোনো ভেজাল নেই !
গ্লিসারিন ছাড়াও আমরা কাঁদি, অহরহ,
নিরর্থক, পর্যুদস্ত হবার বিশদ কারণ ছাড়াই।


কারণ ওটা যুথবদ্ধ বলে তাই !
বাঁ দিকের চোখ বলে ডান দিকের চোখকে সঙ্গে নিয়ে কাঁদো, বলে তাই !


সেটা হতে পারে,
কিন্তু সেটা ছাড়াও হতে পারে।  


মানুষ কাঁদে , কারণ মানুষ মধুর মত মিষ্টি নয়,
তার কাজ নয় চব্বিশ ঘন্টার মধুরেণ সমাপ্তি দেয়া।


আমরা ভালোবাসি, এবং ভালোবাসার বিরুদ্ধাচরণ করি,
ভালোবাসার প্রশ্নে বিরুদ্ধাচরণ করি।  
বিষয়টি অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতার বাইরের প্রশ্ন।


আত্মার মুক্তির জন্য।  
যে ভাষায় মাতৃত্ব নেই, সে ভাষা উর্বশীর।


দিনশেষে সংসার সে সংজ্ঞাগুলোকেও  পুড়িয়ে একটা ভিন্নতর শোকপ্রস্তাব পাঠায়।
সেখানে আমি তোমাকে নিয়ে কাঁদবো,
সেটাও তোমার সাফল্য।  


সাধনার,
কৃচ্ছতার,
যুথবদ্ধ স্বপ্নের।


এবং ভিন্নতর,
চিরকালের ব্যাখ্যাকে অপমান না করেও।



---অগ্রজ কবি কবীর হুমায়ুন কে