আমার আঁধারে স্মৃতিরা বড় বেশী কথা কয়
সেই যে সে গাঁয়ের কথা,
স্টেশনে যেখানে কল্পনায়
গরুর গাড়ী এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ,
বাড়ী ফেরবার পথকে পাড়ি দেবার জন্য
ঘুমে জড়িয়ে আসা চোখগুলোকে খুলতে চেয়ে
তুমি যেখানে এখনো বিষম দুলতে থাকা
সেই ফিরতি সময়কে স্পর্শ করতে পারো,
অবলীলায়।


ব্যক্তিগত আঁধারের কোনো সংজ্ঞা
আমার জানা নেই মোটেই
তবে আঁধারের ব্যক্তিগত বিষন্নতা
বুড়ি ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রায়ই তুঙ্গে ওঠে।
ঘোর মদমত্ত কালবোশেখী ঝড়ের মত
প্রচন্ডতায় উড়িয়ে নিতে চায় ,বেনোজলে
নির্ধারণ করতে চায় নোনাজলে আবহমানের
বেহুলা-লক্ষ্মীন্দরের কাব্যগাঁথা , শোক-স্তবকে।


জীবন , আমার ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা জীবন!
কম একরোখা নও তুমিও! তুমি  তখন জোর পাল্লা দিয়ে ছোটো,
প্রজাপতির জোড়া বুটি ডানায় কল্পনার রংধনুর আবীর ছড়িয়ে দিয়ে
বহু দূরের ফেলে আসা গাঁয়ের সেই লণ্ঠন জ্বালানো বধূর জীর্ণ হেঁসেলে
ফুটন্ত হাঁড়ির আঁধারে যেখানে আজও চিরচেনা ভাতের সুঘ্রাণ জানান দিতে থাকে ,
আলো আর অন্ধকারের শরীর  জুড়ে চিরকাল চলে  ক্ষুধার পৌরাণিক শিল্পভাবনা ,
আর বুনতে থাকে একাগ্রে, সারে সার , জীবন নিরুচ্চার , অনুক্ষণ তবুও জীবন !