মধ্যবর্তী অনুরণনে অনুক্ত স্বর ।
মাগরিবের সময় আকাশের রং দেখেছো কোনদিন ?
আর ঠিক সেইসময়ে ঝিলের মধ্যে থোকা থোকা শাপলার রং , অজস্র ?
জলের ওপরে নিংড়ে নেয়া সময়ের কথকতা
যা প্রতিদিনের কফি মাগে ফুটে ওঠেনা, ক্লান্তির রং বহুবিধ, অনুচ্চারে
সব ফুরিয়ে আসে যে বিকেলের পান্থ আকাশের গায়ে ,
তাকে তুমি কি নাম দেবে ?


আমি ক্লান্তিতে বুঁজে আসা সময়টিকে ভাসিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম, বহু , বহুক্ষণ আগেই। ওখানে সময় স্থবির হয়ে থাকলে, নক্ষত্র পতনের সময় কষ্টটা দ্বিগুন হয়ে বাজে। করণীয় বা কর্তব্য সুযোগের চাইতেও কর্ম বিনাশিনী অঘোর স্বপ্নের মেঘদল। অকেজো এবং সেকেলে। তবে পুরোনো বা চিরকালের , নিত্যদিনের ঐশী আভাস।


যা জানা যায়না , তা হলো, রূপকথার রাজ্যের আরবী ঘোড়ার শেষ ইতিবাচক স্বপ্নটির উপসংহার।
তবে, আশা করা যায়, সারাটা জীবনের প্রান্ত জুড়েই আশাব্যঞ্জক সুনির্দিষ্ট স্বপ্নের নীতিমালা।
খিলখিল হাসির শব্দটা কাঁচভাঙ্গা সুরের মত।  অথবা কাঁচের চুড়ির রিনরিনে সুরের মতোও হতে পারে।


স্বপ্নের নীতিমালা ?


আমিও হাসছিলাম। বহু বহুদিন পরে। এবং স্বপ্নের ভেতরেই।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।  ছায়াপথে স্বপ্নের নীতিমালা তো অবশ্যই প্রণয়নযোগ্য।


ভাঁটফুলের মত। গরম ঢাকাচাপা দেয়া ভাতের হাঁড়ির বাষ্পের মতন। সে ধোঁয়া ঝাপসা করে দিলে দৃষ্টিকে মনে হয় কেবলই সূরা দুখান তেলাওয়াতের সুর ভেসে আসছে।


স্বপ্ন , আর স্বপ্নের রঙের আরশী অনেক কথা বলে।  আসলেই অনেক কথা বলে।


কি বলে?


বলে , ভালো থাকো। হয়ে ওঠো , কল্যাণীয়েষু, প্রিয়বরেষু।
জোড়াসাঁকোর যুগান্তরের স্বপ্ন। যুগের আর কালোত্তীর্ণ , অক্ষয় সময়ের।