মানুষ হয়ে বাঁচবার অনেক, অনেক ঝক্কি।
অনেক বড় মুহূর্তকে ছোট করে সামলে
বড় হয়ে যাবার ভান করতে হয় ক্রমাগত।
আর এই বড় হয়ে যাবার ভান করবার চাইতে
দুঃখের আর কিছুই নেই।
মনের ভেতরের ছোট মানুষটাকে
দেখে শুনে, ঢেকে ঢুকে রাখতে হয়
লোকসম্মুখে।
বার হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচি।
"কেমন আছেন ?"
"এই আছি, কেমন আর থাকা ! বেঁচে আছি কোনো রকম।"
"জীবন তো উপভোগ করবার বিষয় ! শুধু শুধু বেঁচে থাকবার বিষয় কি?"
"না, তাতো নয়ই।  বিতর্ক বাড়িয়েও বা লাভ আছে কিছু?"
"এতক্ষনে অরিন্দম তাহলে কহিলা বিষাদে?"
"মানে?"
"এই আর কি ! বাংলা ভাষায় কত অদ্ভুত ক্রিয়াপদ আছে, দেখেছেন ?"
"যেমন?"
"এই যেমন , উঠিলা রাক্ষসপতি প্রাসাদ শিখরে...
যা লিখেছেন কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।  খাসা কবি বটে!"
"কি আর করা বলুন ! সব কবিই একটু আধটু ওরকম হয় !"
"ঠিক আপনার মতো !"  
"কিরকম?"
"আধ্যাত্বিক আলোকপ্রাপ্ত প্রাণ।
একটু বেশিই আলোকপ্রাপ্ত।
আলোকের ঠেলায় মহাপুরুষের ভাব জন্মায় তো,
তাই ধারণাটিও  বীজে পরিণত হয়।"
"মোদ্দা কথা, আমার সাথে তাহলে বনবেনা?"
"বনবেনা মানে? বনবন করে উড়বে শুধু !
তবে কন্ডিশন শুধু একটাই।"
"কি?"
"কখনো ছোট হতে বলবেন না।  
ছোট বেলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টাতেও যাবেননা।
সবকিছু জীবনের কাছে চাইতে নেই।  
স্রষ্টারও জীবনকে কিছু কিছু দেবার থাকে।  
অন্তত তাই থাকবার কথা।"