বেলা গেলো , হাঁস মুরগি
ঘরে তোলার পরে ,
দাদীকে দেবে ঔষধ
সাঁঝের কুটির ঘরে |
ক্লান্তি নিয়ে খুঁজতে গিয়ে
ঝাপসা চোখে দেখি ,
অনেক বেলা গড়িয়ে গেছে
সোনার পাথর বাটি !


আমার প্রথম শৈশব প্রাণ  
সত্য পরম দান ,
তাঁর হাতেতে বর্ণমালার কলি
ফুটত নয়ন মেলি |
বড় হবার পরেও ছিলাম
তাঁরই গন্ধ বাসে ,
জানা এবং অজানা ক্ষনে
গন্ধ তেলের শ্বাসে |


মৃত্যু অমোঘ ক্ষয় কারক
জটিল কোনো বোধ ,
যায় না নেয়া , হয় না চাওয়া
সেই ক্ষতেরই শোধ |
ছুঁতে পাইনি মৃদু স্বরে
কান্না বিধুর স্বর ,
উঠছে চুল যে গাছা গাছা
হায় অসুখের ঘর !


অনেক আগের কোনো প্রহর
মাথায় চেপে ধরে ,
অন্ধকারে টুঁটি চাপা ক্রোধ
দপদপিয়ে মরে |
ঘুমিয়ে ছিলাম রোগীর  পাশে
হঠাৎ জেগে দেখি ,
জামার বোতাম খুঁজছে আঙুল
নগ্নদেহে , এ কি !


অস্থিরতার ত্রাস  আজো সপাটে
চড় মারে মোর
অভ্যস্ত অপারগতায় নিশীথ রাতের  
বন্ধ ঘরের  দোর |
অপাপবিদ্ধ শিশু চোখের চাহনী  
বন্ধ রাখে চুম ,
মুঠো মুঠো ঔষধ আমার
এবার যারে ঘুম |