আমি তার ক্ষতস্থান দেখি।  
প্রায় চমকে ওঠবার মতন।


রাত জেগে তার ছোপ ছোপ রক্তের স্বাদ
স্মৃতিতে নেবার মধ্যে কোনো ভালো লাগা নেই,
কৃতজ্ঞতাও নেই।
আমি নিজের ভারেই ন্যূব্জদেহ,
অন্য জীবনের ভীড়
সেখানে নিতান্ত অপ্রাপ্তিযোগ মাত্র।


তবুও দেখি।  
দৃষ্টি, সৃষ্টির অনবদ্য দান।  
আমি নতজানু হই তা স্বীকার করতে চেয়ে।
স্বীকার করতে গিয়ে।


গভীর কালো চোখের আলো কিছু বলে ,
আমার ভেতর তা কেবলই আমার কাছে ফিরে আসে।  
শুধুমাত্র আমাকে নিয়ে।
কোনো দায়ভার না রেখে।


অন্ধকারের গোপন ফিসফিসে স্বর ভয় পাইয়ে দিলে
আবার তাকিয়ে দেখি।  বেশ খানিকটা খুঁটিয়ে।
আধো অনুধাবনের অদ্ভুত এক অস্পষ্ট স্বর।
প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে যে অংশে।


ঘুমের অবর্তমানে নির্ঘুম ক্লান্তির দায়ভার
সত্যি বড়ো বেশি হয়ে বাজে।  
অচিনপুরের সামাজিক যোগসূত্রের
সংবেদনশীল এক ব্যক্তিগত আলোছায়ার দিন।


সিনাই পর্বতের মত।  
তোমার মুখের ওপরে
আলো হয়ে থাকা জমাট  সময়ের মত।
সেইসাথে  বুঝতে থাকা কোনো একটা অনুভূতির মত।  
জমাট হয়ে থাকা বরফশীতল হৃদয়ের
অলিন্দ প্রকোষ্ঠের গল্প,
আর তার অনুভূতি ।