টিকা টিপ্পনী :ইদানিং রম্য কবিতা লিখতে গেলেই মনে হয় সবাই চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে।  জীবনটা এতটাই অস্থির।  রামগরুড়ের ছানাপোনাদের জয়জয়াকার। এর মধ্যেই হাসি।  কারণ, হাসতে ভালোবাসি।


গিন্নী :তুমি  এতো
পড়শী বাড়ীতে তাকিয়ে থাকো কেন ?
মনে হয় যেন নজর দিচ্ছ !


কর্তা: কি করবো,
আমার চোখ খারাপ,
বহিরঙ্গে আনন্দের অনুষঙ্গ খোঁজে।
কি আর করবে বল !


গিন্নী : তা হোক।  
নিজেকে বদলাতে হলে,
শোধরাতে হলেও
কি একরকমই থাকবে?


কর্তা : না, তা ঠিক না।
তবে তাগিদটা ভেতর থেকে না এলে
তো ওটা ফাঁকির একটা যুৎসই ফর্দ,
আর কিছু নয়।


গিন্নী : এতো নিজেকে বোঝাই,
এখনো আশা আছে।
রাতে তো হলো বেগুন লাবড়া ,
আলুর দম, মুড়িঘন্ট।  
খালি আশা ,
এখনো আশারই সহিষ্ণু পরাকাষ্ঠা!


(একটু  রাত গভীর হলে),


কর্তা : আমার চোখ তো খারাপ বললে ,
ওবাড়ীর চৌধুরীকে কি বলবে?


গিন্নী: কেন, কি হয়েছে?


কর্তা  : ব্যাটা দিনরাত প্রমিত-চলতি
ভাষাতত্বে নাক ডুবিয়েই থাকে ,
এমন একটা লেখা পাঠিয়েছি ,
যে নিজে ডেকে আমাকে বললে , বহ।


গিন্নী: সে কি কথা?
সহ বললেও না হয় বোঝা যেত,
বহ কি কথা ?


কর্তা  : আসন গ্রহন করতে বলছে না
বহতা স্রোত হতে বলছে,
সেখানেতেই তার নজর।


গিন্নী: তা কি এমন লেখা পাঠালে?


কর্তা  :আধুনিক মেয়েরা সব
বেয়াড়া হয়ে উঠছে কিনা,
তাই নিয়ে একটু ,


গিন্নী: বেয়াড়া কিরকম?


কর্তা: এই যেমন কথাগুলো উল্টো,
শিশু কালের শৈশব থেকে
যেমন ঘোড়ার হ্রেষারব আসে আর কি!
কোনটা যে তাগিদ,
বুঝে ওঠাই ভার হয়ে পড়ে।


গিন্নী:  আমি তো কৈ
তোমাকে আমাদের মেয়েটার ব্যাপারে
ওসব বলতে শুনিনা !


কর্তা: দরকার থাকলে নিশ্চই শুনবে।
আমাদের মেয়ে অনেক ভালো, পয়মন্ত।


গিন্নী:তা বলে মানুষকে দুষবে ?
আখেরে পস্তাবে তো !
দশে মিলে করি কাজ !


কর্তা:ওসব বলে লাভ নেই,
লজ্জা এখন ঘরে ঘরে ,
দশের ধার ধারে না কেউই।


গিন্নী:আমারও তাই মনে হয়,
চক্ষুলজ্জা আজ কাল একটি গবেষণার বিষয়,
আদতে সেই ঘোড়দৌড়ে টিকে থাকবে কিনা তা নিয়ে।


কর্তা:যাক এবার কাজের কথা,
চক্ষু লজ্জা নিয়েও বলছি,
একটা কথা !


গিন্নী:কি, শাড়ীটা কেমন মানালো সেই কথা?


কর্তা: দূর, শাড়ী কেন ?
বলছি আজকের মুড়োর ঘন্টটা দারুন হয়েছিল!  
জবাব নেই !


গিন্নী: তাই বল।  তোমার চোখে শাড়ী পড়তে গেলে
আরো কত মুড়োয় যে ঘন্ট পাকাবে, তাই ভাববার কথা।


কর্তা: তা যা বলেছো।  
ভদ্রলোকের এক কথা , জানোই তো !