বাংলাদেশ,
এতো বৃহৎ পরিসরের কোনো ভাষ্য
মনে হয় বক্তব্যটাকে,
কোনো কথা বলা হয়েই  ওঠে না।  


অথচ,
প্রতিটি প্রবাসীই তার দেশকে ভালোবাসে,
একান্তে, একেবারে নিজের মতন করে।
যা বলা যায়না, তা হলো ভালোবাসার প্রকাশ
যথোপযুক্ত হয়ে উঠলো কিনা।  


বৈঠকখানাতে পাঠিয়ে দেয়া চায়ের স্বাদের মত ,
যা নিজের থেকেও নিজের হয়ে ওঠাই চাই,
নিজের বলে যেখানে কথা।


আমার ঘরকুনো জীবনের স্মৃতিতে বাংলাদেশ
অনেক অনুভূতির একটা স্থান।  
যেখানে বাবা থাকেন, মা থাকেন।
গৃহমুখী গার্হস্থ্য সুখ ,


বর্ষাদিনে,
আকাশ জুড়ে মেঘ থৈ থৈ ,
আর ভীষণ রকম আবেগপ্রবণ মানুষ।


প্রবাসে অনুভূতিগুলো যখন নিয়ম তান্ত্রিক ,
যুক্তিসিদ্ধ,
কেটে ছেঁটে ফেলা টুকরো পর্যায়ের সংজ্ঞায়িত
কোনো বিশেষণের মত শোনায় তখন এই দেশপ্রেম
আর ভালোবাসার আবেগপ্রবণতাকে।


কাউকেই দোষ দিয়ে লাভ নেই ,
তবে আত্মীকরণের মূলসূত্রটা
বারে বারে আহত হয়,
আর, আত্মস্থ হয় সমঝোতায়।


ফিরে আসে ভালোবাসা,
গোধূলীর আভায় ভাসে পরিযায়ী পাখিদের সুর
যে জীবন দোয়েলের , ফড়িঙের ,
দিনশেষে হয়নাই দেখা সে জীবনে অদেখার দূর।


জুলাই ১০, ২০২২