তোমার ফর্সা মুখের উজ্জ্বল গৌরকান্তি আর স্বেদবিন্দুর জমতে থাকা কোন এক মুহূর্তকে নিয়ে ভাবতে বা লিখতে আমার ভালো লাগে
তবে
এ মুহূর্তেও যখন লিখছি, মুহূর্তটি সরে যাচ্ছে ,
বিশ্বাস করো ,
পিচ্ছিল ত্বকের তুখোড় খেলোয়াড়
রূপচাঁদা মাছের চকচকে শরীরের মত ,
অথবা গতরাতের না ধুতে পারা.
এঁটো বাসন পত্রের মত
পেরে না ওঠা
কুশীলব সত্যের বিপরীত বটে
আর সংসারে আত্মশ্লাঘা এতটাই জটিল,
চর্বিত বিষয় যে
দরজা ভেজানোর পরেও
অন্তস্থ্য য ফলাকেও প্রশ্ন করতে হয়
তা কখন দাহ্য বস্তু ছিল
বা হতে পারে
বা আদৌ
হতে
পারে কিনা
দেবী স্বরস্বতী
অথবা শিখা অনির্বাণ
অথবা
বিদ্যাময়ী
এসব কারণে খাপছাড়া
অন্যতর কোনো গুরুভার  
প্রশ্ন না এনেও।


তবুও আমি
তোমাকেই ভাবছিলাম ,
কষ্টসাধ্য সে ভাবনায়
কোন তাড়নার বাইরেও


কোন সত্যভাষনের প্রয়াস
ছিল প্রথম বারের মতো


সেখানে কেন আমি এতো অত
কেন আমি এতো শত ,


এ ব্যাখ্যা দিতে আমি আসলেই আসিনি
কারণ সে দাহ্য বস্তু নিয়ে
আমি ক্রমাগতই ফায়ার সার্ভিসের ,
বেশ ভারাক্রান্ত ভাবে
বেশ সড়গড় হয়ে ওঠায় ,
ও বিষয়ে তুমি
আমাকে অনুক্তিতে বলবে
সে আশাতীত প্রশ্ন পুনরায় ,
যা পুরোপুরি অবৈতনিক


এবার মূল সুর
কেটে যাবার আগেই
বলে ফেলতে চাই
সকাল বেলার
কথা
তুমি কেন কখন
কোথায় আমাকে ভাববে
তার
বাইরে  বিষয়েও
কেন কোথাও
কেউ কাউকে
এখনো ভাববে বা লিখবে
তার উপস্থাপনার প্রয়োজনে ,


তুমি আমাকে লিখতে পারো
কারণ ব্যক্তিগত নীরব বোধ
থেকে
লিখিত বা অলিখিত মুহূর্তের আনমনে
স্বগতোক্তি উচ্চারণ


সেখানে লিখতে পারো
যেখানে স্বেদবিন্দুর
নিভৃতে ব্যান্ডেজ লেখে নিভৃতচারী
উপশমের জন্য ,


রাষ্ট্রপ্রধান বিতর্কিত তালপট্টি বিষয়ে
বিবদমান পরিস্থিতিতে লেখেন,


জ্বরাক্রান্ত শিশুটিকে জলপট্টি দেবার টাটকা স্মৃতিতে বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের
পানির
ট্যাঙ্ক তার অতীত অস্তিত্ব বিদ্যমান রেখে,
কারণ জ্বর মাত্রই হতেই পারে,
হয়েও থাকে


লেখে জাতীয়তাবাদ ঔপনিবেশিক
বিতর্ক, বীরত্ব সহ্য করে সভ্যতার বৃহত্তর
সমস্যাসংকুল পর্বের মত সূর্যোদয়ের প্রত্যাশায়


লেখে স্রষ্টার আনুগত্য অনস্বীকার্যে আস্তিকতার ভোররাত , সুবহে সাদেক সত্য
বলে


দ্ব্যর্থহীন
যুগান্তকারী ক্রমবর্ধমান সভ্যতায়
ঋজুতায়।