জাইগট
(বিলিরিক- তৃতীয় ধারা ,
কঠামো তিন)


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


পৃথিবীর জাইগট,  হয়েছিলো সেই কবে ,
সেই হতে তুমি আছো , অণুকোষে এই ভবে ,
দিছো তুমি ভালোবাসা ,
শুধু আশা , নেই ভাষা,
জীবনটা দাবাপাশা, তবে কেন বলো বলো ,
কায়াহীন ভাবে চলো , ঈশারাতে সব হলো ,
মনোরম দুনিয়ায় ,
ভাবনার চোখে দেখে , ভালোবাসা বেড়ে যায় ।


আকাশের নীলবুকে , মখমল খোরমালী ,
নিশিচান দেয় আরো , হৃদয়ের সুধা ঢালি ,
মহাকাশে ছবি যত ,
অবিরত, মনমত,
বিকাশিত শতশত, করো তুমি মহিমাতে ,
ভালোবেসা দিনরাতে, দেখি আছো তুমি তাতে ,
অনুরাগী হয় মন ,
বিরহের দাহে মরি , ধুরিফিরি জীববন ।


হৃদয়ের বাসরটা , ভরে রাখি মনফুলে,
আশাআশে দিন যায় , রাত যায় আঁখি খুলে ,
নয়নের জল ঝরে,
চরাচরে , বাস করে ,
কবে পাবো নিজ ঘরে , আছি আমি ভাবনায় ,
হাওয়ার পাখিটায় , মিলনের সুধা চায় ,
দেও তুমি  সব নিয়ে,
সুখী আমি  হবো ভবে , সব কিছু আমি দিয়ে ।


সেই  ভোরে রেখে গেছো ,পরবাসে দুনিয়ায়,
বিরহের তাপদহে , মাসেমাসে কাল যায়  ,
একা আছি বেলা শেষে,
পরদেশে , হীনবেশে,
কাছে এসে ভালোবেসে, খুলে দেও বাধা জট,
হীয়া মাঝে হয়ে যাক , দু'অণুর জাইগট  ।