ঝিল্লী ও তণ্তু কথা


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


সৃষ্টি আদি জীবের গভীরে
আঠালো জেলিটিনে তৈরি
মিউকাস দেহী
জেলিফিশ, পলিপ , এনিমোনি ।
তাইতো কবিতা
তোমার আম্বালাইকাল কর্ডেও
হোয়াইট জেলি আছে
এবং
সকল চোখের ভিট্রিয়াস দেহে
মিউকাস টিসু আছে
যা
দেহের অন্য কোথাও নেই ।
মনে রেখ কবিতা
কনেক্টিভ টিসুর গায়ে
এপিথিলিয়াম সেল্স চমৎকার ভাবে
সাজানো থাকে
তা
ঝিল্লি নামে পরিচিত ।
ব্লাড , লিম‌্ফ্ , নার্ভাসটিসু
টেন্ডন ,মাংশপেশী
এ সবই তন্তুর প্রকার ভেদ
এই প্রকার ভেদের রহস্য
জানতে তোমাকে আমি ওটিতে
নিয়ে যাবো কবিতা
শুধু তোমার ভালোবাসার দরকার।
কারণ
রক্তস্রাবী গ্রন্থিগুলো
রক্ত বিহীন এপিথিলিয়াম টিসুতে ঘেরা ।
তাই
আমি দেখতে চাই
আঁশাকার এপিথিলিয়াম রক্ত
আর
লিম‌্ফাটিক্সের ভিতরে কী ভূমিকা রাখে ।
কলাম্‌নার কেন
ঝাড়ের বাতির মত  আছে
পিত্তকোষে ,অন্ত্রে এবং পাকস্থলীতে
কিউবয়ডেল কেনো চৌকো ভাবে সাজানো
থাইরয়েড  ও রক্তবহা নাড়ী বা গ্রন্থির মধ্যে ।
আরো শুনো তুমি কবিতা
সিলিয়েড এপিথিলিয়াম
যাকে সিলিয়া বলে ।
এই সিলিয়া
আমাদের দেহের ভিতর প্রবেশিত
পোকামাকড়, সকল প্রকার ধুলাবালি
থেকে রক্ষাকরে ,
ভেবে আমি অবাক হই কবিতা
মানব শরীরের রহস্যের কথা ভেবে ।
গ্রন্থিকোষ শুধু মিউসিন তৈরী করে
বলে তাকে
এক্সোক্রাইন বলে ,
নলবিহীন গ্রন্থিদের বলা হয়
এন্ডোক্রাইন ।
এরা দেহকে রাখে লাবণ্যময় ।
এপিডার্মিসে , ক‌ন‌্জাংক্টাইভাতে,
কর্নিয়া, মুখগহ্বরে, গলনালীতে
গুহ্যদ্বারে
এবং
রিরংসার দারে
স্টাটিফায়ড এপিথিলিয়ামে ক্রিয়া
খুবই প্রাণবন্ত ।
কিন্তু
সিলিয়ামযুক্ত স্ট্রাটিফায়েডকে
দেখা যায়
বায়ুনালীভুজে ও কন্ঠনালীতে ‌।
দার পথে
এবং
এলার্জিক উপ-অস্থ
বিশেষ করে
ইউরিণ থলীর উপরের কোষাণুরা
আপেক্ষাকৃত বড় ও চওড়া
যা
ট্রান্সিসানাল এপিথিলিয়াম নামে পরিচিত,
এখানেই শেষ নয় কবিতা
এরপর আছে
কনেক্টিভ টিসু বা যোজক তন্তু ।