কৃকলাস
(বিলিরিক ধারা তিন
কাঠামে দুই
সর্বোত্তমমিলে লেখা )


ঠাকুর  বিশ্বরাজ গোস্বামী


কুসুমিত রাঙারবী, ভোর নোদিটার কূলে ,
সুকোমল বায়ু লাগে, জীবনের মূলে মূলে ,
শিশিরেরকণা শেষ,
সূরটার পেয়ে রেষ ,
এই ধরা আনিমেষ , হয়ে আছে শোভারাণী ,
জীবনটা মধুময়, হিয়াটায় দেয় বাণী ।


পথ চলা হয় শুরু, যেতে হবে বহু দূর ,
ধীরে ধীরে ঢলে যায় জীবনের মূল সূর ,
খেলা নিয়ে সারাক্ষণ,
করি শুধু মিছে পণ ,
মিছে হলো আশা রণ , হয়ে আছি মৃতমৃত ,
অরিদলে মিশে মিশে , আজ আমি তার ভৃত ।


জীবনের সার ছিলো , সুগোপন অতি গূড় ,
সারাক্ষণ করি শেষ , বুঝি নাই আমি মূড় ,
বেয়ে গেছি সুখে তরী,
ঘরে এনে হুরপরী ,
পেয়ে এক চাপাদরী , হারা হই নিজ সূতা ,
চারিদিকে আছে শুধু , মাকড়সা তার লূতা ।


যারা ছিলো দলে মিশে , তারা ছুরি  দেয় শাণ ,
মাঝে মাঝে দূরে থেকে , যমরাজ মারে বাণ ,
চোখে নাই আজ দৃক ,
হয়ে গেছি বনবৃক ,
ভূলে গেছি মূল সৃক , ঝরে শুধু চোখে নীর ,
কৃকলাস হয়ে আজ , চলে গেছে দুটি তীর ।