প্রাণের তরী-২৫


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


সাঁজিয়ে ছাঁদনা তলা,
মইল ফাগুন বেলা,
ছেড়েছি সুখের ভেলা,
একা আনি আমি নিজে ,
পরের জমিটা পেয়ে,
চাষ করি সুরা খেয়ে,
জমি ভরি আনবীজে।


ফসলে জমিটি ভরা
গেয়েছি আনন্দে গান,
ভাবিনি তোমার দান,
কাজটি করেছি ভুল,
গিয়েছে দুইটি কূল ,
সব-ই আমার ভাবি,
হারাই ঘরের চাবি,
ভাসি দু'চোখের জলে।


দুরাগত সাঁঝতলা
দে-ঘর ভেঙ্গছি আমি,
সারাক্ষন দিবা-জামি,
দুপুরে রোদের রাগে,
ভাড়াটে আমি বুঝিনি,
মালিক তুমি খুঁজিনি,
বিমল প্রেমের বাগে।


এসেছি এখন পারে
নেই কিছু হাতে আর,
চোখে দেখি অন্ধকার,
আমার কাজের ফলে,
একা আমি নিরুপায়,
পারে এসে প্রাণ যায়,
এ তরী আর না চলে।


নদীতে বড় তুফান
বুঝিনা আমি কি করি,
পারিনা বাইতে তরী,
নদীতে ডেকেছে বান,
সুজন রসিক নেয়ে,
নিয়ে যাও নিজে বেয়ে,
এ প্রাণেরতরীখান।