প্রাণেরতরী-৩৫


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


দুপুরে রবির খরা  তপ্ত মাঠ ঘাট,
জমিতে ধানের ঝরা কাটি লাট লাট,
বিদ্যুত্বানে বজ্র ডাকে,
বিজলিটা ফাঁকে ফাঁকে,
দেয়া আরো ঝাঁকে ঝাঁকে, বারে বারে আসে,
নিরুপায় হয়ে আছি একা পরবাসে।


কাজটা হয়নি শেষ খেতে আছে ধান,
ঝঞ্ঝা বেগে চলে বায়ু মাতালিয়া গান,
নদীতে মরণ ঢেউ,
চারিদিকে নেই কেউ,
ডাকছে পাগলা ফেউ, সন্ধ্যাঘন কালে,
তরীটা নঙ্গর করা রেতবেগ খালে।


ফসলে ভরছি তরী ডুবুডুবু আজ,
নদীটার বুকে দেখি তরঙ্গের তাজ,
মাঝিমাল্লা ছিলো যারা,
চলে গেছে আজ তারা,
একা আমি দিশেহারা, সাঁঝতারা সাঁঝগাঁয়ে,
বিপদ আমার আজ দেখি পায়ে পায়ে।


অদেখা নাবিক বন্ধু করো এসে ত্রাণ,
তোমার-ই ইশারায়  আসে যায় প্রাণ,
সাথী নেই তুমি ছাড়া,
নেই কোনো দিগদাড়া
যমরাজ দিচ্ছে তাড়া, মরি একা তরী খুলে,
আমার প্রাণেরতরী নিয়ে যাও কূলে।