প্রাণেরতরী-৩৬
ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী
শুরু হয় ভব খেলা,
ঊষার কুসুমবেলা,
তারপর যাত্র শুরু কত পথ যেতে হবে,
জানা নেই থেমে নেই পথ চলা এই ভবে,
চারদিকে চাঁদমেলা।
দুরন্ত দুপুর আসে,
প্রাণেরতরীটা ভাসে,
জলবেণী অনুরাগে বেগেলা নোদির বুকে,
ইচ্ছার ঘুড়িটা উড়ে কুসুমিত টুকটুকে,
চৈতি নামি মধুমাসে।
চৈত্রী রাতে ফুল তোলে,
জোস্নার রেনুতে ভোলে,
জীবনের যায় গতি চোখে উপচোখে নিয়ে,
বুঝেনা ভাঙ্গন কূলে তরীখানি ভেড়ে গিয়ে,
ঢেউয়ের দোলে দোলে।
তারপর অবিরত,
রজনি অদূরাগত,
দেখে একা তিরে বসে নিজের কাজের ফলে,
কপালতলারনোদি ভাসে শুধু নোনা জলে,
মনে নিয়ে বিষক্ষত।
পরিশেষে ডুবে যায়,
প্রাণেরইতরীটায়,
নিয়ে যায় শুধু সাথে আপন কাজের ফল
বিবেকটা বলে তাই মন রেখো পরিমল
যেতে নিজ ঠিকানায়।