প্রাণেরতরী-৪


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টাপুর,
জলসাঘরে বাজে নুপুর,
প্রেমের সুর, সৃষ্টি,
জলের বুকে বৃষ্টির ফুল,
জল-পরীর কানের দুল,
ভাসায় কূল, বৃষ্টি।


বৃষ্টি-কোমল মেঘলাবতী,
দোলায় শাড়ি কাজলা সতী,
মিঠেল গতি, বায়,
এমনি ক্ষণে হৃদয়-বনে,
তোমাকে এই গোপন মনে,
সারাটিখনে, চায়।


মেঘকন্যা হাওয়ায় ভেসে,
যায় চলে ঐ তোমার দেশে,
বিজলি হেসে, কবি,
কাজলা কালো মুখাটা নিয়ে,
আমার কথা বলবে গিয়ে,
আকছে হিয়ে ,ছবি।


বাদল ভেঁজা আদল মনে,
আচটি দেও সারাটিখনে
দূরের বনে , থাকো,
চোখের নদী ভাসায় কূল,
প্রেম কি বলো বৃষ্টির ফুল,
ব্যথারঝুল, আঁকো ।


আকাশ গায়ে মেঘের রেণু,
বাতাস মুখে পাতার বেণু,
উদাস ধেনু, ঘাসে,
কবি তোমার প্রেমের টানে
আমার মন তোমার গানে,
আঁখির বানে, ভাসে।


মাঝি-মাল্লায় বাইছে নাও,
পেয়ে মিঠেল মৃদুল বাও,
হৃদয়ে গাও, গান,
নিজ ফসল যতন করে,
প্রানেরতরী দিলাম ভরে,
তরীকে হরে, বান ।


আউলে তান মেঘলা মুখে,
বিজলি ঝরে পরমে সুখে,
রয়েছি দুখে, কবি,
প্রাণেরতরী কিনারে যাবে,
দিনের শেষে তোমাকে পাবে,
আঁধারে খাবে, রবি,
পাশে থেকো হে কবি,সাথে থেকো হে কবি।