প্রাণেরতরী-৫
ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বমী
মোরগফুলের রঙ মাখা শিশুভোরে,
পৃথিবির আলোময় দ্বোরে, কুহুতান,
নাড়িটা ছেঁড়া কান্নার বান, অন্যে হাসে,
মধুময় এই পরবাসে, করে গান।
রক্তাক্ত জোয়ারে ভেসে আসে, মরি-মরি,
সাড়ে তিন হাত ছোট তরী, দুনিয়ায়,
মহানন্দে দিন কেটে যায়, তরী বেয়ে,
যৌবন নদীর ঢেউ পেয়ে, জোরে ধায়।
বসন্তের বাতাসটা পেয়ে তুলে পাল,
বুনে প্রেমের রঙিন জাল, শখ পালে,
আড়াই ইঞ্চির চাপা খালে, তরী যায়,
সুখানন্দে তরীখান বায়, ঢেউ তালে।
সন্ধ্যানোদির তরঙ্গ লেগে অবশেষে,
প্রাণটি যায় অচিন দেশে, শেষ ডাকে,
প্রাণের-ই তরী পড়ে থাকে, ধরা পরে
তরী বাই তবু নিজ করে, বাকে বাকে।
তোমার তরী তুমি-ই মাঝি দিন-যামি,
তোমার তরী ভেঙেছি আমি, ঘোরাঁধারে,
কাজের ফল দিলাম তুলে, আশা করি,
আমার এই প্রাণেরতরী, নিবে পারে।