প্রাণেরতরী-৫৪


ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী


শন্যতার রঙ মেখে, তোমার-ই রঙ ঢেকে
উড়াই ইচ্ছার শাড়ী,
সবুজ ঘাসের বুকে, সকল বাধন চুকে
চালাই সখের গাড়ি।
কোমল ঘাসের শিষে, প্রেমবিন্দু ছিলো মিশে
নষ্ট করি নিজ কাজে,
মূল্যটা দেইনি তার, এখানে হয়েছে হার
আনসুর প্রাণে বাজে,
মনঅলি মেলে ডানা, তবু পানে মউদানা
গিয়ে ফুলের বাসরে,
কাজলা মনঅলি , ফুটায় ফুলের কলি
সোনালী স্বপ্ন আসরে।
চুতুরা ফুলের কলি, আলিঙ্গনে মারে অলি
মাধুরী বেচা কেনায়,
তেমনি জীবন ভরে, বেচাকেনা আমি করে
আছি ভীষণ দেনায়।
মরাগাঙ্গে বালুচর, কাশবনে বেধে ঘর
গৃহস্তালী আমি করি,
চলিফিরি ইচ্ছামত, শিরটা করিনি মত
অহঙ্কারে আজ মরি।
পাই আমি সাঁঝঘ্রাণ, দুরুদুরু করে প্রাণ
অশ্রুবান তাই বাড়ে
তবুও বসন্ত গানে মনটাকে শুধু টানে
প্রেমনোদিটার পাড়ে।
গেরুয়া বাউল ঝুলি, চায় মন বুলবুলি
দয়া করে দেও রাজে,
বিকেলের-ই বাতাসে, খোলে প্রনয় খাতা সে
বিরহসানাই বাজে।
হৃদয়ের গানে গানে, প্রেমের আঘাত হানে
বিরহমাধুরী দেয়
ঘুম ভাঙ্গে আনুরাগে , জীবন ময়ুরী জাগে
তোমার দেশেতে নেয়।
অদূরে সুদূরে তুমি, অদেখা চরণ চুমি
কল্পনার লাজ ঠোটে,
সাঁঝের আঁচল ধরে,  দেখছি আদর করে
দিনের আলোটা লোটে।
দু'চোখে কান্নাররেণু, যমেলা রাগের বেণু
বাজিছে জীবনবনে,
মলিন সুরের রাগ, দিচ্ছে হীরের-ই দাগ
কাঁচরঙ এই মনে।
প্রেমের-ই টিয়াটায়, কথা বলে হিয়াটায়
তোমার নিকটে যেতে,
দেখি চোখে বিভাবরি , তাবুও প্রাণেরতরী  
খুলে দিছি আড়িপেতে।
তোমার-ই ইচ্ছা যে-টি , করো প্রিয় তুমি সে-টি
তাতে কোনো নেই দুখ ,
এ তরী তোমার দান , ডুবালেও তরীখান
পাবো আমি বড় সুখ।