প্রাণেরতরী-৯
ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী
পোয়াতি রাত প্রসব করে
রাক্তিম কোমল শিশু ভোর,
আনন্দে ভরে, হৃদয়দ্বোর,
আপন অপর নারী-নরে।
কিশোর দুপুর তার পর
রূপসী প্রাণের আঙ্গিনায়,
ভরছে ঘর, দখিনা বায়,
পৃথিবির রূপ মনোহর।
সূরতলায় মনটা রাঙ্গে
তরীটা খুলে ফাগুন বায়ে,
যৌবন গাঙ্গে, মেঘের ছাঁয়ে,
ঐহিক সুখে ঘরটা ভাঙ্গে।
দুরন্ত দুপুর খরোতাপে
নূপুর বাজায় ধরা পরে,
ভরণি কাঁপে, অন্তরজ্বরে,
ঘোর আঁধারের ধাপে ধাপে।
যৌবন রবির খরোতাপ
বেতাল করে আসল তালে,
রঙিন ছাঁপ, লাগায় ভালে,
দিঘল ভ্রন্তির আভিশাপ।
দিক হারায়ে অকাল বেলা
সন্ধ্যানোদির ঘাটেতে আসে,
সকল খেলা, আঁধারে নাশে,
ভাঙে প্রাণের-তরীর মেলা।