ঝির-ঝির-ঝির বৃষ্টি পড়ে,
                         নড়ে গাছের পাতা,
তাই না দেখে রঙিন পাখি,
                        গাছেই বাঁধে বাসা।
কুহু কুহু ডাক দিয়ে ঐ,
                       কোকিল উড়ে যায়,
বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়ে ,
                       মেঘেরা ঝরে যায়।
কিছু কিছু মেঘের দলের,
               ওড়ানো আবির আলো,
রামধনুরা তাদের হয়তো,
                      বড্ড বাসে ভালো।
ফিরিঙ্গীরা লম্বা লেজে,
                  এদিক ওদিক ছোটে,
ভালোবাসার রং লেগেছে,
                লাজুক  কালো ঠোঁটে।
জমির জলের কাঁকড়া গুলো,
                          লুকাচুরির ছলে,
মনে হয় যেন গর্তে বসে,
                      প্রেমের কথা বলে।
মাঠের ধারের তালতলাতে,
                  অনেক ব্যাঙের  বাস,
ডাকে সদাই  বাদালা দিনে,
                     কিসের অভিলাষ ।
বাঁশ বাগানে পেঁচা চেঁচায়,
                       সন্ধা নামলে পরে,
বাদলা পোকা বাদলা দিনে,
                        লম্ফে পুড়ে মরে।
হিঁড়ের পরে ঢেঁড়স গাছে,
                      টিয়া পাখির ভিড় ,  
লাল ঠোঁটেতে কাটছে ঢেঁড়স,
                        রয়না কভু স্থির ।
তালের বোড়া ,তালের পিঠে,
                          সন্ধা হলে পরে ,
উনানের  পোড়া পিঠেতেও,
                      কখনো পেট ভরে।
বর্ষাকালের বৃষ্টি ভেজা মাটির,
                        নরম সোঁদা গন্ধে,
আজও মন পড়ে থাকে গ্রামে,
                   সত্যই সেই আনন্দে।
চারিদিকে সবুজেরই ভিড়,
                    কচি সবুজের মেলা,
মনে পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে,
                    সেই ফুটবল  খেলা।
স্কুলের মাঠে ছিলো,মন্তার কাঁটা,
           আর ছিল বাবলার  কাঁটা,
পায়ে ফুটে গেলে পরে,
             তখন সোজা বাড়ি হাঁটা।
অনেক খেয়েছি লাঠ্ঠ ঔষধি ,    
                          এই বর্ষার দিনে,
ভালো লাগতো সবকিছুই,
                 শুধু পড়াশোনা বিনে।
সেই সময়ের মতো ধরায়,
                  আবার এসেছে বর্ষা,
কিন্তু সময় গড়িয়ে  বয়স বেড়েছে,
            তাই নেই কোনো ভরসা।
শুধুই আছে জলছবি,
                        মনের ভাঙা ঘরে,
স্মৃতি গুলো মাঝে মাঝে তাই,
                          অভিমান করে।