আবার এলে তুমি,বর্ষা রূপী মলিন কান্না হয়ে,
কান্নায় ধুয়েছ্ ধরণীর পাদতল,বেসেছ্ ভালো,
ধূসর প্রানে এনেছ্,সবুজের মনোরম হাস্যরস,
তারা যেন তোমার অপেক্ষায়, চিত্তক্ষোভে রত,
সবুজ শিশু ,তার জননীর বুকে,লীলায়িত বাঁধন,
উঁকিমারে রুক্ষ আঁচলে আবৃত,মৃত অঙ্কুরোদ্গম,
যেন হাজার বছর অপেক্ষায়,তৃষ্ণার্ত মরুযাত্রী,
আবার এলে তুমি,বর্ষারূপী মলিন কান্না হয়ে।
চলে যাওয়ার বিদায়সম্ভাষণ,কখনত্ত চাওনি তুমি
তবুত্ত ভালোবাস্ এই বিষাদ, সার্থপর প্রেমিকে।
আকাশ জুড়ে  কালোচাদরে,লুকোনো হাস্যরস,
মাঝে মাঝে আত্মগরজী,কম্পিত যুদ্ধ-কৌশল,
তার যুদ্ধে রণসজ্জিত বজ্রাপাত,যেন ইন্দ্রের হুঙ্কার,
সূর্যের বিপক্ষে, প্রহরী ন্যায় সর্বদা বিরামবিহীন 
কান্নার রূপ নিয়ে ঝড়ে পড়ে,জননীর আহ্বানে,
মাতৃ স্নেহহীন আনাথ,সদ্যোজাত শিশুর ন্যায়।
কখোন আবার ভাসিয়েছ্ ,খুশির কারাগার,
বন্যারূপে কাঁদিয়েছ,বসুন্ধরার কোমল হৃদয়।
ভাঁঙো গড়ো যাই করো, যেন আবার ফিরে আসি
বর্ষা জননী সারজীবন,আমি তোমায় ভালোবাসি।