ওরা কি মানুষ?না মানুষের মতো?
কুকুরের,আত্মনাদে,যাদের ঘুম ভাঁঙে,
নোংরা সুগন্ধি আবহাওয়ায়,শায়িত শব। 
ঘুম ভেঁঙে আবার,পড়া রুটির খোঁজা খুঁজি,
প্রভাত যাদের,সুপ্রভাতে আহ্বান করে না
ডাকে কমষ্ঠ বাহুবলী,রক্তদূষণের ত্বরে
উপায় নাই,মুক্ত বীহঙ্গের মতো উড়তে
মুক্তিপায়,মরনের আনন্দিত উচ্ছাসে
কর্ম যেন তাদের ,ভালবাসার মানুষ
সদা সর্বদা  ডাকে,রক্তাভ হাতছানি,
পরনে আদিম সভ্যতার,নব অলঙ্কার
অলঙ্কৃত দেহে কিছু,ঘায়ের লুকোচুরি
উসকো কুন্তল যেন,তৃষ্ণার্ত ঘাসের চর,
চঞ্চল আঁখি বলে,আমরা অসভ্য নই,
ছেঁড়াক্ত চপ্পল,বিদ্রোহী রূপের ন্যায়,
তবুও তারা,মানুষের মতো প্রবাহমান,
আছে রঙিন স্বপ্ন,আছে সভ্য হবার মন,
আছে সংকট সংযমী মন, শুকনো কান্না,
কান্না বাণ,সভ্য সমাজের উত্তাপে বাষ্পীভূত।
এরা কাজ করে, আর মরে,পায়না কিছুই,
পায় সুধু ব্যথাতে লাগানোর,মহামন্ত্রণা
এতে ব্যথা কমে,ব্যথিত ক্যানসারে রুপায়ণ ।
সমাজের এরাই কাক,কন্ঠধ্বনি শ্রুতিকটু
ধংসের শেষ দিন পর্যন্ত,এরা আছে,থাকবে।
সংসারের নিয়মলঙ্ঘন,এদের কাম্য নয়,
কম্য শুধু,এই পৃথিবীজাত দূষণের ঘ্রাণ
এরা বদলায় না,এরা অবিনশ্বর জগন্নাথ।
এদের কর্মে ভেজা,ঘাম-রক্তে শহর আলোকিত,
জনাকি ছাড়া কেউ এদের,আলো দেয় না
ফুটপাতের, হলুদ আলোর রঙে, দোল খেলে।
কখনো শ্রবণীর ডাকে, জেগে ওঠে তারা
ঘুম গেল হাতছাড়া,প্রতীক্ষা উৎসবের
উৎসব হবে,কবরে,বা চিতার অগ্নিদগ্ধে,
তাই, এরাও সভ্য সমাজের মানুষ্যজাতি ।