সমাজ দেখি বদলে গেছে,রাতের অন্ধকারে,
মরছে দেখ্ সব মাছিরা,আজকে অনাহারে।
পিঁপড়ে গুলো আন্দোলনে,হচ্ছে দেখি বৃদ্ধ,
সময়ের ঐ উইপোকারাই,করছে কার্যসিদ্ধ।
মাকড়সারা জাল পেতেছে,জলেরই সঙ্কট,
প্রতিশ্রুতির লম্বা গলায়,কামড়ে আছে কর্কট।
ইঁদুর গুলো কাটমানিতে,করছে মাটি ফোগলা,
গরিব দেখি অন্ধকারেই,ছিলছে বাঁশের চকলা।
মৌচাকেতে মধু কোথায়?জমছে কালোটাকা,
ফ্ল্যাট বাড়ির অত্যাচারে,চাষের জমি ফাঁকা।
আরশোলারা মনের সুখে,করছে দেখি রান্না,
ঝড় বৃষ্টি ফাঁকা মাঠে,গরিব পিঁপড়ের কান্না।
ব্যাঙের দেখি জ্বর হয়েছে,খাচ্ছে ভালোমন্দ,
শুঁয়োপোকা গান ধরেছে,নতুন তালের ছন্দ।
শুয়োরছানার হাতে লাঠি,করে এরা কাটাকাটি,
কুকুর ছানা মরছে তাতে,রক্তপাতে ভেজা মাটি।
পাখি গুলো আর ওড়েনা,খোলা আকাশ পানে,
ডানাতে বুঝি ঘা ধরেছে,ঐ রাজ্যনীতির বানে।
বিশ্বকর্মা দিনেই ঘুমায়,আজ রাস্তা ঘাটের শ্রাদ্ধ,
সেতু ভাঁঙার আনন্দেতে,বাজছে ঢাঁকের বাদ্য।
কুকুর চেঁচায় রাস্তাঘাটে,জন জীবন বেসামাল,
গুয়েপোকার নোংরামিতে,পথচারি নাজেহাল।
গোলাপের ঐ গন্ধ নিয়ে,হচ্ছে দেখি তর্ক,
উল্টো দেখি,সহজ ধাঁধার,জটিল সেই বিতর্ক।
কতো এলো কতো গেলো,বৃষ্টি কেন পড়লোনা,
বর্ষাকাল শেষ হলেও,চাষীর গোলা ভরলোনা।