বর্ষার করুন কান্নায়,দেখেছি তোমায়
আমি যে মেঘ,তবু কেন চেননি আমায়?
কত কান্না ধরে রাখি,জীবন গড়ার সম্পদে
হৃদ মাঝারে রেখেছিলাম,বান এসেছে আজ নদে।
আকাশ ভরা তারার মাঝে,মেঘের আনাগনা
তারাদের রেনুমেঘে, ছায়াপথের গান শোনা।
নীল আকাশ ছেয়েছে মেঘে,বর্ষার দেখা নাই
স্বপ্নলোকের পূর্ণিমাতে,চাঁদ ওঠেনি তাই।
বর্ষায়,শুখনো বৃক্ষের খসে পড়া বাকল
বৃষ্টির আয়নাতে দেখেছি,তোমার শকল।
বেঁধেছি আজ ঘনঘটা,শ্রাবণ দুপুরে চোখের ফোটা
ধরার বুকে ঝরলো সে যে,ভরলো না যে আমার লোটা।
তোমার জলে ভিজলো আমার,রঙে আঁকা সেই ছবি
জানি না আমি,বুঝিনা কিছুই, নইকো আমি কবি।
দূর দেশে ঐ দেশান্তরে,আমার পথ চলা
অনেক কিছু বলার ছিল,হয়নি এখন্ বলা।
বলবো কেমনে,তুমি যে বৃষ্টি ঝরে পড়ো যেথা সেথা
অন্তরে তুমি আছ্ চিরদিনি,দিয়েছ কেবলি ব্যথা।
হয়তো এই ব্যথা আর,বেশিদিন নয়,হবে তুমি পর
নতুন করে গড়বে তুমি বালু কাদার চর।
হয়তো হবে বর্ষা থেকে,বরফের কোনো স্তুপ
জীবন গড়ার রেডিওটাও হয়তো হবে চুপ।
নীল নীর্জনে থাকবো আমি,একাই ভবঘুরে
জীবন খাতার প্রতি পাতা,যায়গো ছিঁড়ে ছুঁড়ে।
নীল আকাশে পাখির দেখা,তোমার দেখা নাই
আজও এমন অপেক্ষায় রত,তোমায় পেতে চায়।


তোমার সেই চলে যাওয়া, আজও মনে পড়ে
যেন মৃত শরীর আমার,পিঁপড়েরা ঘিরে ধরে।
না মরেই হয়েছি ভুত,অনুভব করেছি মরন
শশ্নান ঘাটের চিতার আগুনে,করেছি তোমায় বরন।
সজ্জাসায়ি আমি,হতোবম্ব,যেন জীর্ণ পদাবলী
মৃত জঙ্গলে লেগেছে আগুন,জ্বলছে ফুলের কলি।
আগুন নেভানোর কেউ নাই,নাই কোনো সংযম
পাপের ঘোড়া ভরে গিয়ে, পূন্য ভরেছে কম।
ক্ষুধার্ত কুকুর শুঁকছে ধূলো,শকুনের আনাগোনা
স্বপ্নহীন হৃদয় নিয়ে,বেদনার গান শোনা।
কুকুর মরলে শকুন খুশি,সবাই অপেক্ষায় রত
কালো পাহাড় ,দাঁড়িয়ে হাসে,তৃষ্ণার্ত রাক্ষসের মতো।
তারও কেউ নাই,নাইকো ঝর্ণা নাইকো হরি
একমুঠো স্বপ্ন নিয়ে,কেঁদে কেঁদে মরি।
কচি ডাবে জল নাই,নাই কোন ক্ষেত
নাইকো এখোন তোমার সাথে,আমার ভদাভেদ।
আমিও মৃত,তুমিও মৃত,মৃত্যুর পগারপার
স্মৃতির ধুলো জমে জমে,কাঁদায় বারেবার।
কাঁকের খুঁটে খাওয়া খাদ্য,পিঁপড়ের জালিয়াতি
কারও চোখে আগুন নাই,সমাজে কে জ্বলাবে বাতি।
সবাই সার্থপর- - চোখচেয়ে ঘুমে রত
তারাই আবার নীতির কথা,শোনায় কতশত ।
ঘাটে বসে থাকা ব্যাঙ্,ঝাঁপদেয় জীবনের ভয়ে
নিজে বাঁচলে বাপের নাম, শুকনো কাঁকড়ারা কহে।


সুখের বরফ গলা জলে,ধুয়েছি তোমার মন
কখন বুঝতে পারিনি,তুমি নও মোর আপনঞ্জন।
মিথ্যে আশা নিয়ে বেঁধে ছিলাম,তাসের ঘর
বিলীন হয়েছে সব,তুমি নও মোর সহচর।
হাজার তারা গুনেছি আমি,তারার দেশে গিয়ে
দিলেনা কেন ভালোবাসা,আমার মুখ চেয়ে।
নীল সাগরে পাড়ি দিয়ে,খুজেছি নীল রতন
পুতেছ তুমি আমার জীবনে,ঘন দুখের বন।
কাজোল কালো চোখে তোমার, দেখিনি আলোর ছায়া
তবু মন ভেবে মরে,একি তোর মায়া?
নীল আকাশের মাঝে,রাতে চাঁদের পাশে,দেখেছি তোমায়
হলুদ সাজে সেজে তুমি,কখন্ খোঁজনি আমায়।
হলুদ কাপড়,কপালে হলুদ টিপ,হলুদ মাখা মুখে লাজুক হাসি
এই গোধূলিতে,বাজবে তোমার,হয়তো সুখের বাঁশি ।
তোমার এবার বিদায় নেবার,পালা এসেছে
এ দেখাই শেষ দেখা,শুখনো মনে বান ডেকেছে।
তোমার হরিণী চখের জল,করে টলমল
হয়তো মুছে গেছে তোমার,দুখের কাজোল।
তবে কেন তুমি,কাঁদ বিদায় বেলায়?
এ চোখের জল কি, বিগবে মেলায়।
কেউ বুজবে না,কেউ শুনবে না,আমার কথা
হৃদ বো্র্ডে তার নাম,আজও পিন দিয়ে গাঁথা।
কষ্ট কাকে বলে,তোমার জানার কথা নয়
তুমি কি সত্যিই আছ সুখে?তাই ভয় হয়।
কখন যদি ভুলেও,মনে পড়ে আমাকে
চোখ বুজে ভেবে দেখ,সত্যিই আজও ভালবাসি তোমাকে
এ বুক শূন্য যত ,ততটা জমেছে ক্ষত
হৃদয় অশ্রুশ্নাত তোমারই জন্য ।