মাঝরাত।
ট্রেনটা ছুটে চলেছে তখন।
আশেপাশের যাত্রীরা সব ঘুমে।
জানলার বাইরে আঁধার,
ছুটে চলা গাছপালা,
মাঝে মাঝে দু একটা আলো।
হালকা শীত পড়েছে তখন।
সব কিছু চুপ।
শুধু ট্রেনের ঝিক ঝিক শব্দ।
পাশের সিটের বুড়ো লোকটা,
সস্তা রাজনীতির আঁশটে গল্প শেষে-
সিটে রেখেছে মাথাটা।
সামনের সিটের ছোট্ট ছেলেটাও-
মাথা রেখেছে মা'র কোলে।


ছুটে চলেছে ট্রেনটা।
এপারে দুজন
ক্লান্ত খুবই,
সারাদিনর অনেক ধকল-
গেছে ওদের ওপর দিয়ে।
তবু মুখে নেই ক্লান্তির ছাপ!
ছেলেটা আধো ঘুমে।
মেয়েটা ঘুমিয়েছে কেবলই,
অনেক গল্পের শেষে,
ছেলেটার বুকে।
হালকা ঠান্ডা পড়েছে তখন।


রাতের ঠান্ডা বাতাসটা বাড়ে যেন হঠাৎ।
ছেলেটা মেয়েটাকে আরেকটু কাছে টেনে নেয়
চাদরটা টেনে দেয় আরেকটু,
মেয়েটাও উষ্ণ আদরটুকু মেখে নেয় গায়ে, ঘুমের ঘোরেই।
বাইরের জ্যোৎস্না তখন-
জানলা গলে এসে পড়ে ওদের ওপর।
ছুয়ে দিয়ে যায় আলতো করে।
ট্রেনের ভেতরে আশ্চর্য আলোছায়ার খেলা!
আর ঝিকঝিক শব্দ শুধু।
ছেলেটার ঠোটটা আলতো করে ছুয়ে যায়-
মেয়েটার মাথায়।
ঘুম আসছে তারো।


চাঁদের আলোয় ধীরেধীরে,
বেড়ে চলে আরেকটা শীতের রাত।
ছুটে চলে ট্রেন।
আর তার সাথে ছুটে চলে দুজন,
ভালোবাসার চাদরে মোড়া।
চোখে তাদের রঙিন স্বপ্ন..


-১১/১২/২০১৩
রাজশাহী