নিরক্ষর তো শুধু আঙুলের ছাপে
দীর্ঘ গল্পের ইতি টেনে
কাগুজে মানুষগুলোকে ভিজিয়েছে।
তার গল্পের বোঝা খর রৌদ্রে
লাঙল দিয়ে টেনেছে চাষের বলদ
আর জমিন ফুঁড়ে ইতিহাসে শুধু
বিক্ষিপ্ত আশার লতানো পুঁজ বেরিয়েছে,
গামছা জরানো দেহ নিংড়ানো মাটিতে বসে
প্রথম বিশ্বাস করতে শিখেছিল
অধিকার নেই!
তারপর থেকে কোতোয়ালের দেয়া প্রতিটি গালি
দ্রোহী রক্তে গুঞ্জন তুলে যেত,
অসহায় হাত ক্লান্ত ঘুমের মাঝেও
সন্তানের পেট হাতরে বারবার ক্ষমা চাইত।
সংসয়ে কাটে রাত,
ভোর হতে গোয়ালের চালা নিলামে তুলে দিয়ে
মানচিত্র থেকে নিজের শেষ অংশটুকু মুছে নেয় তারা।


এই প্রাচীন গল্প শায়িত মানুষগুলো
তাদের সাথে নিয়ে যেতে পারেনি
দ্রোহী রক্তে চাবুকের প্রলেপ
আজও সব স্মৃতি মুছে দেয়
নিয়তি আমাদের কিংবদন্তীর দ্বারপ্রান্ত থেকে
ছিটকে ফেলেছে অব্যবস্থার ধ্বংস কূপে
আবার আমরা বিশ্বাস করতে শিখেছি
মানচিত্রে আমাদের অধিকার বা জায়গা কিছুই নেই।