সেদিনও রাতের আঁধার সরিয়ে
সকাল এসেছিল,
শিতের হিমেল বাতাস
বাসা বেঁধেছিল জড়তার কোলে
সদ্যজাত সূর্য গাছের পাতায়,কুয়াশার সাথে
মেতেছিল লুকোচুরি খেলায় ;
একটু একটু করে সকালের বেড়েছিল বয়স ,
সূর্য তখন হিমালয়ের কোল পেরিয়ে
পূর্ণ যৌবনের পথে
কুয়াশার চাদর মেখেছিল গায়ে
ঘন কুয়াশা আবেশে জড়িয়ে ধরেছিল সূর্য কে
তাদের মধ্যে হয়েছিল ভাব ,
কুয়াশা এক সকালের জীবন শপেছিল
সূর্যের বুকে
কচি গাছের ডগা,সবুজ তৃণলতা
বিদ্রুপ করে বলেছিল_
"সূর্যের সঙ্গে ভাব !
ধুস পাগলি ,এ যে বড় বেমানান
বড়ই বিদঘুটে,
এ যে প্রকৃতি বিরুদ্ধ
সূর্যের যৌবনের তেজ যে তোকে পুড়িয়ে মারবে
দেহের শিরা উপশিরা কে করবে ছিন্ন
রক্ত কণিকা গুলোকে জমাট বাঁধাকে
বইবে দেহে রক্তধারা ;


মুখ ভার করা কুয়াশা
ছুটে গিয়েছিল সূর্যের কাছে,
অভিমানি মুখ ,সূর্যের আলিঙ্গনে নেমেছিল আঁধার ;


সময়ের বয়স বেড়েছে
সূর্যের তেজে কুয়াশার চোখে মুখে
তখন বিন্দু বিন্দু ঘাম
সূর্যের দিকে প্রশ্ন ছুরে বলেছিল
"আমাদের ভালোবাসা কি সত্যি বেমানান
বড়ই বিদঘুটে ?"
সূর্য আরো সজোরে জাপটে ধরেছিল কুয়াশা কে
কুয়াশা প্রসারিত করেছে দুটি হাত
অস্পষ্ট মুখের ভাষা অন্তিম যাত্রার ন্যায়
চিৎকার করে বলেছে ....
"এ কেমন ভালোবাসা !বিনাশ জেনেও
নিয়ে এসেছে তোমার কাছে ?
বুকের ভেতর টা দহন জ্বালায় পুড়লেও
আকরে ধরতে চাইছে বার বার তোমায় "


চিৎকার করে বলেছে.......
"এ কোন শক্তি আমাকে  তোমার থেকে
দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ?
শরীরের জলকনা কে ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে,
আমি যে থাকতে চাই তোমার পরশে
আমি যে তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই
বাঁচতে চাই তোমার সঙ্গে ।"


বজ্রকঠিন সূর্যের বিষ্ফোরিত নির্বাক দ্যুতি
অসহয়তার কাছে হয়েছে অপরাধী,
বলেগেছে শুধুই........
ভালোবাসি ,ভালোবাসি ।