। আদালত বুলবুল ও পেটের ভাত।        


এইবারে ফের মন দেওয়া যাক ভাত রুটিতে,
যাক ছুটিতে ঈশ্বরেরা ,
সব খিদেপেট দানা কাটুক দাঁত দুটিতে,
ঘনিয়ে আসা মেঘের কালো’র
যতই ভালো নাম নাম দিয়ে দাও,
বুলবুল বা ক্যাটারিনা,
ধ্বংস করার সময় ওরা সে সব স্নেহের ধারে ধারেনা।
অর্থনীতি ঋণাত্মকে,
জমিটা কার সে নির্মোকে
গেছে ঢেকে তুচ্ছ খবর আজ সকালে,
ভাঁজ কপালে পড়ার মতো মন দেয়নি কোনো লোকে,
দেশ জুড়ে আজ একটা খবর,
কবর খুঁড়ে তুলে আনা মোগল রাজা
বনাম রাঘব দাশরথি ,
কোনদিকে যে হাওয়ার গতি
বুঝতে চলে চাপানউতোর,
ঝর ঝর ঝর বৃষ্টি পড়ে,
তুফান ভারী আসছে ধেয়ে,
এসব নিয়ে ব্যস্ত স্বদেশ,
অর্থনীতির ধ্বস্ত হওয়ার কুটকচালি শুনবে কে হে?


শুনছে তবু।
বুনছে অলীক চাকরি খোয়াব
বান্দা খোদার, ভক্ত রামের,
ভাবছে কালই দাম পাবে ঠিক অদ্যাবধি ব্যর্থ ঘামের।
শুনছে সেও ,
শ্রান্তদেহ ভক্ত শ্রমিক,
আজান এবং পুজোর পালা সাঙ্গ করে
যে হাঘরে দেখছে গিয়ে কারখানাতে বিরাট তালা,
সশব্দে তার পেটের ভেতর
খিদের সাথে ভেংচি কাটে
সেনসেক্সের জোকারগুলো,
তার সেদিনই চাকরি গেছে নিফটি যেদিন আকাশ ছুঁলো।


এ এক আজব দেশ হয়েছে,
মূর্তিরা পায় পেটখোরাকি, বিলাস প্রাসাদ ,
সাধ আহ্লাদ মিটছে সবই আইনকৃপায়,
শীর্ণ মানুষ জীর্ণ বেশে পুজো এবং নমাজ পড়ে
বাকি সময় হন্যে হয়ে এক দুবেলার ভাত খুঁজে যায়।


খুব স্বাভাবিক, ভগবানের প্রাপ্য যেটা,
মানুষে আর কি করে পায়...


আর্যতীর্থ