। আকাশ মাটি।


দাঁড়াও চন্দ্রযান, পৃথিবী ছাড়ার আগে নিচুপানে দেখো।
মেঘ অভিমান করে হারিয়ে  গিয়েছে , খোঁজ নেই তার,
সুতরাং আড়াল পাবেনা। ওই যে ধূসর ভূমি সবুজের বিনা,
ইঁট বালি কংক্রীটে আগাগোড়া মোড়া, ওটাই তোমার দেশ,
এবং আমারও । তোমার ক্যামেরা থেকে জুম করো যদি,
দেখবে পুকুর আর যাবতীয় নদী নিস্তেজ পিপাসায়,
এই বর্ষায় কোনো জলের খবর নেই।কিছুটা পাশেই,
সারি সারি মৃত ক্ষেত, রোদ্দুর প্রতিদিন রাখছে নজরে,
কোত্থাও ভেজে না যেন ;সব কুয়ো জলহীন, ভূঁইফোড়
নল পায় মাটির গভীরে গিয়ে খটখটে মেঝে, পাথরের
সব রস আগেই নিয়েছে শুষে সভ্যতা জোঁক।কৃষকের
চোখ শুধু ভেজা থাকে অবিরল, শেষ সম্বল হিসেবে
ফলিডল রেখেছে গুছিয়ে। লক্ষ্যে পৌঁছাবে যখন
দিনক্ষণ মেপে , লক্ষ তালির মাঝে চাঁদমাটি ছোঁবে,
সেইদিন হে চন্দ্রযান, ক্যামেরা ফিরিও ফের ভারতের পানে।
তুমি তো যন্ত্র তাই অবাকের ভানে চোখ কপালে তোলা
অভ্যাসে নেই। নয়তো দেখতে, সীমাহীন  ফুটিফাটা
গাছহীন জমি আর চন্দ্রিল মরূভূমি দুঃসহ সহোদরা যেন।


আকাশে প্রগতি খালি, নিচুতে মাটির এই অধোগতি কেন?


আর্যতীর্থ