।অন্য পথিক।


ধমক খেলে উপায় আছে দুটো
মন বানিয়ে ন্যাতানো খড়কুটো,
ভেসে যাওয়া স্রোত যেদিকে যায়
কিংবা ভীষণ শক্ত করে মুঠো,
চেঁচিয়ে ওঠা ‘না, এটা অন্যায়!’


প্রথম পথটি ভারী আরামদায়ক,
হুজুর হবেন নেতা এবং নায়ক
ধমক তো নয়, ওসব আশীর্বাণী,
সহাস্যে সয় পোষ্য আজ্ঞাবাহক,
যাপনগাথায় নেই কোনো আনচানই।


কিন্তু যদি চোখেতে চোখ রেখে,
পথিক অন্য চিত্রনাট্য লেখে,
জল উঁচুতে জল উঁচু না বলে?
এবড়োখেবড়ো রুক্ষ দিকে বেঁকে,
নিজেই নিজের মশাল হয়ে জ্বলে?


ধমক তখন প্রবলতর ক্ষোভে,
নিজেই যে ঠিক প্রমাণ করার লোভে,
মুঠো করা হাত নিতে চায় কেটে,
তার শাসনে তাকেই কে আর ছোঁবে,
কাজেই সে কাজ সফলভাবেই মেটে।


কিন্তু কাটা মুঠোর রক্তফোঁটা,
পড়লে পরেই মানুষ বনে গোটা,
অবাক কান্ড, তারাও পাকায় মুঠি,
মশাল একা জ্বলার সে গল্পটা,
ফুলকিগুলোর সঙ্গে বাঁধে জুটি।


ধমক ঝলসে যায় ক্রমে সেই আঁচে,
আগুনশিখা প্রলয় হয়ে নাচে,
কটা মুঠো কাটবে সে আর শুনি?
লক্ষ লোকের মশাল হওয়ার ধাঁচে,
বিনষ্ট হয় এক মশালের খুনী।


ধমক যখন আকাশ মাটি ঢাকে,
অন্যপথিক ঠিকই জেগে থাকে,
জোরসে  হাঁকে ‘ না এটা অন্যায়!’
ছলে বলে যতই ঢাকো তাকে,
লাখ মনে তার শব্দ শোনা যায়।


সে শব্দ কি ডেকেছে তোমায়?


আর্যতীর্থ