। অশ্বিনেয়।


ভীম অর্জুন সবার প্রিয়, কারোর কারোর যুধিষ্ঠিরও,
কাউকে খুঁজে পাবে কি আর, অশ্বিনেয় যাদের হিরো?
অশ্বিনেয় বুঝলে না তো, মাদ্রেয়তেও বুঝবে তা কি
আরে আরে, সবাই মিলে বেদম ধোলাই দেবে নাকি?
আরে বাবা, ছদ্মতে নাম গ্রন্থিক আর তন্ত্রীপাল,
তাও চেনোনি? কপাল আমার, পড়েছে যে কি দিনকাল!
আচ্ছা বাপু ঘাট হয়েছে, আমারই নয় বলতে ভুল,
অন্য নামে চিনবেই ঠিক, বীর সহদেব আর নকুল।
পান্ডবদের শেষের দুভাই, পার্থ যাদের যায় না ডাকা
থেকেও যারা নেইয়ের মতন, পাওয়ার ঝুলি বেবাক ফাঁকা।


সুদর্শনে সেরার সেরা, ঘোড়ার জ্ঞানেও প্রথম যে,
অক্ষৌহিনীর অধিনায়ক, তাও চেনো কেউ নকুলকে?
কুরুক্ষেত্রে প্রথম দিনেই দুঃশাসনের সব কেড়ে,
ভীম মারবেন পরে বলে দয়া করে দেন ছেড়ে।
আর সহদেব, জ্ঞানের সাগর, দুর্যোধনও ভক্ত যার,
তরোয়ালে হারায় তাঁকে, তিন ভূবনে সাধ্য কার?
অশ্বমেধে দাক্ষিণাত্য একাই দখল করেন যিনি,
অস্ত্রতে যার বধ হয়ে যায় অবশেষে খল শকুনি,
ভারতপাঠক , বলুন তাঁরা পেলেন কোথায় সঠিক মান,
একজনও কি এই দুনিয়ায় অশ্বিনেয় বনতে চান?


সময় যখন সামনে ডাকে, দিনবদলের সূত্রপাত,
অনেক বৃহৎ নামের পাশে লড়াই করে ক্ষুদ্র হাত।
ক্ষুদ্র মানে চেষ্টাতে নয়, নাম ভুলে যায় যার লোকে
বিখ্যাতদের উজ্জ্বলতায় , পড়েই না যে আর চোখে।
যেমন ধরো স্বাধীনতায়, গান্ধী প্যাটেল জওহরলাল
আজও তাঁদের কীর্তিগাথায় অতীত জ্বালায় রঙমশাল
তাঁদের পাশেই যুদ্ধে ছিলেন, মনে পড়ে কি আজকে,
খান আবদুল গফফর বা আবুল কালাম আজাদকে?
তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আছে মনে দেশবাসীর
কিন্তু সে সব মানুষ যারা সে ডাক শুনে দেন রুধির
তাঁদের কজন রাখলো মনে, যদিও আজাদ কাণ্ডারী
শাহ নওয়াজ প্রেম সায়গল, আবছা হয়ে রন ভারী।


অশ্বিনেয় হন না হিরো কুরুক্ষেত্র কার্গিলে,
তবুও জেনো যায় না জেতা যুদ্ধ তাদের বাদ দিলে।


আর্যতীর্থ