। আত্মসমালোচনা।


হিংস্র বর্বরতা রুটিন খবর হলে ক্রোধেরা স্তিমিত হয়ে আসে।
‘যা হবার হোক বাবা আমার তো কিছু নয়’ ভেবে নিতে মন ভালোবাসে,
আশেপাশে দু চারটে পাড়াতে ঝামেলা না ছুঁলেই হলো।
যে নাবালিকা ধর্ষিত হয় অনাথ আলয় নামে কামের বিবরে, সেই স্তরে আমাদের আত্মীয় নেই,
যে লোকটা গণ-আক্রোশে খুন হয়ে গেলো স্রেফ ভিন্ন হওয়ার দোষে,
দূরতম কল্পনাতে আমি তাকে বন্ধু ভাবিনা।
‘ আর একটি’ ধর্ষণ খুন বা অন্য দুর্ঘটনা  আমাদের ঠিক ততটুকু প্রভাবিত করে,
যতটুকু সিরিয়ালে অ্যাডের বিরতি।
যা হয়েছে সেটা এক ভিন্নতর পৃথিবীর ক্ষতি, সেই সান্ত্বনা নিয়ে আমরা ভাবতে বসি
চালু গান-রিয়েলিটি কে জিতে নেবে,
কিংবা অমুক কাপে ভারতের প্রতিভূরা কতটা এগোবে,
যেভাবে ভাবলে কিছু ভালো থাকা যায়,
যেভাবে থাকলে হেসে মুখ দেখা যায় রোজ আয়নায়।


তার মানে, এসময়ে ভালো থাকা মানে ভুলে থাকা। গ্যালারিতে ভরা থাক সেলফির ঝাঁক,
ফেসবুকে শত শত কথা চালু থাক,
যেমন সিনেমাস্ক্রিনে বোমা বন্দুক  দেয় তাপহীন , ক্ষতিহীন উত্তেজনা,
কৃষকের ফলিডল, গাছে ঝোলা অসবর্ণ দম্পতি নিয়ে আলোচনা
তেমনই নিরুদ্বিগ্ন হওয়া ভালো,
সত্যের কাছাকাছি দাঁড়াবার উত্তাপ আমাদের ছাপোষা চামড়ায় সয়না,
শতকরা নিরানব্বই ভাগে, হিংস্রতা যাদেরকে কড়মড় খায়, তারা আমাদের কেউ হয়না।


বাকি একভাগ? আগুন পুড়িয়ে দিলে আমাদেরই ঘরবাড়ি, হায়না ছিঁড়লো যদি আমাদেরই শিশু নারী,
তার বেলা কি হয়?


পড়শিরা বলে ওটা পাশের বাড়িতে, ওদের সঙ্গে নেই ভালো পরিচয়...


আর্যতীর্থ