।বাইশে।


পায়ের চিহ্ন মনের বাটে পড়েই চলেছে যে,
তানপুরাটা ওঠে আজও তোমার গানেই বেজে।
দুঃখে প্রলেপ সুখের সোহাগ তোমার কাছেই পাই সে,
হারায় নি তো কোনো কিছুই  শ্রাবণমাসের বাইশে।


শ্যামসমান মরণ যাহার সময় তাকে করবেটা কি?
পথ হারালে জ্বালিয়ে আলো দিক দেখাতে তোমায় দেখি।
জিভে চোখে লাগাম দেওয়ার হুকুম বেকার তাই সে,
চিত্তে পুনঃ ভয়কে তাড়ায় শ্রাবণমাসের বাইশে।


তোমার ওপর ভরসা রেখে শব্দতে মন বাঁধি,
স্তুতির গানে স্বর মেশে না, পৃথক গলা সাধি।
শিরদাঁড়াভূক হুঙ্কার দেয় পিঠ খুঁজে দেখ নাই সে,
ঋজু থাকার মন্ত্র শোনায় শ্রাবণমাসের বাইশে।


বৃষ্টি মানে আগামীতে নতুন প্রাণের উৎসব,
শ্রাবণ এলেই সবুজ ঢাকে ধ্বস্ত মাটির খুঁত সব।
শাসক যখন তথ্য ভুলায় মানুষরা ভাই ভাই সে,
সবার শিকড় এক করে দেয় শ্রাবণমাসের বাইশে।


এ বিষ বাতাসে বড্ড কঠিন নিজেকে ভাসিয়ে রাখা
তাঁর ফিসফিস শুনি স্বপ্নতে বন্ধ কোরো না পাখা।
শব্দে আমার জ্বালাবো মশাল, আবার কসম খাই সে
একলা চলার ভরসা জোগায় শ্রাবণমাসের বাইশে।


আর্যতীর্থ