। ভূত এবং বৃষ্টি।


বৃষ্টি দেখে ভূতেরা ফ্যাঁচ কান্না জোড়ে মাঝরাতে,
চতুর্দশীর আগের দিনে মেঘরা এমন বাধ সাধে।
একখানা দিন পঞ্জিকাতে হিসেব মতো ভৌতিকে,
সেটাও যদি মেঘ নিয়ে যায় ভূতের কথা শুনবে কে!


তোমরা যারা শরীরধারী, ভাবছো এতে শংকা কই
ভূতের কাছে বৃষ্টি তো আর কিচ্ছু না লবডংকা বই!
শরীরই নেই ভেজাবে কি, কেঁদে কেন ফ্যাঁচ ওতে,
বৃষ্টিতে নয়, ভূতের আসল ভয়ের কারণ হ্যাঁচ্চোতে।


মুচকি হেসে ভাবছো তো গুল দিচ্ছি আমি মুখ পুঁছে,
সত্যবাদী চিনলে না কেউ, রইলো এটাই দুঃখু যে।
ভূত বলে কি অসুখও নেই, মরলো বলেই পার পাবে?
ব্যাকটেরিয়ার ভূতরা কোথায় শিকার বলো আর পাবে?


মানুষ মারে নিঠুর হাতে রোগবালাইয়ের জার্মগুলো,
ডেটল দিয়ে সাফ করে হাত লিস্টারিনে মুখ ধুলো
সে সব মৃত ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসদের আত্মাকুল,
কোনো ভূতের বাঁধায় কাশি, কারো আবার অম্লশূল।


সুখের ব্যাপার , ভূতডাক্তার পোক্ত বেবাক ভ্যাক্সিনে
জার্মেরা আর হার্ম করে না, সাফ হয়ে যায় একদিনে।
একটি রোগেই ভূতরা কাবু, হয়নি আজও ওর টিকে,
ভূতের দাওয়াই আনতে বাগে পারে না স্রেফ সর্দিকে।


কাজেই অঝোর ঝরলে বাদল, ভূত ভেজেনা বৃষ্টিতে,
ভূতভাইরাস তক্কে আছে সর্দিজ্বরের বিষ দিতে।
অসময়ের নিম্নচাপে ওলটপালট হচ্ছে আজ,
চতুর্দশী সিক্ত হলে বার হবে না ভূত সমাজ।


পাঠক এবং পাঠিকাগণ, হাসবেননা গুল ভেবে,
বৃষ্টি যদি আজকে পড়ে, ভূতরা যাবে ফুল খেপে।
আসবে যখন বাড়ি বয়ে খ্যাপা সেসব ভূতের পাল,
পার পাবে না হিসেব কষে ক’মন ধানে কত্ত চাল।


সত্যি কথা কেউ শোনেনা, এমনি এখন দেশের হাল।


আর্যতীর্থ