।বুথগামীকে।


ভোটার রে তুই বুথের পানে যাসনে যেন বাছা!
প্রবাদ মেনে চাচার মতো নিজের প্রাণটা বাঁচা।
সবাই যে যার ভোট দিয়ে যান,
বিখ্যাতরা যতই চেঁচান,
কয়েকটা হাত নাড়ছে সুতো, কাজ আমাদের নাচা,
গণতন্ত্রের মন্ত্রে বাঁধা মনোপলি’র মাচা।


তোর ভোট কে দেবে সেটা বাপু ওদের ওপর ছাড়,
লাইন দেওয়ার সাহস করিস,  খুব বেড়েছে বাড়!
তর্জনীতে ভোটের কালি,
ওসব ওদের চোখের বালি,
তুই ছা পোষা লোক বুঝবি না ছাই ভোটের ধুন্ধুমার,
কে জিতবে ঠিক করাই যখন, তোকে কি দরকার?


প্রার্থী পরেন প্রতীক মুখোশ, মানুষ থাকে ঢাকা,
সবার মাথায় উন্নয়নের বিশাল বিশাল ঝাঁকা।
অতীত থেকে আগামীতে
প্রতিশ্রুতি মিলছে ফ্রী-তে
পাওনা ঘরে দাওনা উঁকি, বিরাট জিরো আঁকা,
বিশ্ব দেখে নিঃস্ব ক্রমেই তিনরঙা পতাকা।


যে দল জেতে তাকেই দেশের মানুষ জেতায় নাকি,
(দ্যাখনা তবু  তুই আর আমি  কত্ত ভয়ে থাকি)
হেরে যাওয়া প্রার্থী হাঁকে
ভুল বুঝেছেন মানুষ তাকে
কেউ বলেনা ভুল ভেবেছি, ভাগ্যতে তাই ফাঁকি,
দেশ এগোনোর ভরসা আবার এদের ওপর রাখি!


এত শোনার পরেও যদি বুথের দিকে যাস,
প্রতীক ছেড়ে মানুষ বাছিস, আমার মাথা খাস।
সেরা মানুষ জিতে গেলে,
হাত লাগাবে দেশবদলে,
হোননা তিনি পদ্ম বা হাত, কাস্তে কিংবা ঘাস,
ফার্স্টবয়দের বাছিস যদি ভালোই হবে ক্লাস।


তা নইলে যে বাড়বে শুধু ভোটদাতাদের লাশ...


আর্যতীর্থ