।দশ শব্দের কম।


তোমার আর আমার দশটা শব্দ দিয়ে গল্প হবেনা।


‘তুমি ছাড়া আমার জীবন অচল’ এই পাঁচটা কথার পরে ,
তোমার মুখ বেঁকিয়ে বলা ‘ন্যাকা!’
ছ’টা শব্দে আমার প্রিয়তম প্রেমকাহিনীর জন্ম দেয়।


মুঠোফোনী খুটখাটে  অন্যমনস্কতায় কফির কাপের ‘ঠকাস’
আর একটা হিসহিসে ‘ চললাম’,
মাত্র একটা শব্দে পৃথিবী ওলটপালট হওয়ার গল্প লেখে।


তুমুল ঝগড়ার পরে ঝড় ভেঙে বাড়ি ফিরে
প্লাস্টিকে রাখা ফোন সন্তর্পণে অন করে
‘পৌঁছলে?’ লিখে যখন দেখি সাথে সাথে জোড়া নীল টিক হলো,
তারপর ‘ টাইপিং’ লেখাতে যে আশিরনখর শিহরন জাগে,
কালিদাস হলে তাতে আরেকটা মেঘদূতমের জন্ম দিতেন।


আশ্লেষী রাতশেষ ভোরে,
মৃদু চুম্বন অনুপানে ফিসফিসে ‘ভালোবাসি’ বলবার পরে, ঘুমচোখে চিমটিতে যেই বলো ‘ছাই’,
সূর্যকে সাক্ষী রেখে ভোরের বাতাস সে গল্পটাকে কালজয়ী বলে করে দৃপ্ত ঘোষণা।


খুব রেগে যাওয়া তোমায় মানাতে,
অপটু চায়ের কাপ সাথে কাঁদো কাঁদো ‘সরি’,
তেমন মিলনান্তক ক’টা উপন্যাস আর সাহিত্যে আছে?


তাই ভেবে দেখলাম জানো,
তোমাকে আমাকে নিয়ে দশশব্দের কোনো গল্প হবে না,
অতগুলো শব্দকে রাখবো কোথায়?


আর্যতীর্থ