। ধর্মজুলুম।


ক্ষমতাবানের ধর্মজুলুমে সময় পচন-গন্ধী,
বিভাজন জালে ঈশ্বরও বুঝি মানসিক প্রতিবন্ধী।
জন্মের দায়ে কালি দেওয়া গায়ে এখনও যে দেশে প্রথা,
যত বেজে যাক প্রগতির ঢাক নেই তার স্বাধীনতা।


এক ধাক্কাতে সোজা রাস্তাতে নামলে সখিনা বিবি,
মিঁয়াটিকে ধরে ধর্ম বলে না , পাপের হিসেব দিবি।
সুভাষ পুরুত , শুধু তাঁর খুঁত তাকে ঘরে তুলে আনা
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দোষে, যজমানি হলো মানা।


চাঁদ ছোঁবে দেশ , সেই উল্লাসে কারা করে যায় নৃত্য?
ধর্ম এখানে রোজ বসে করে মানুষের শেষকৃত্য।
ভালোবাসা জানে জাতরাখা ভানে কত আত্মজা গুমখুন,
বদলিয়ে লাশে চলে অনায়াসে নিরীহ আজান রামধুন।


একুশ শতকে চারদিকে আজও অন্ধকারের চিহ্ন,
সম-নাগরিক প্রলেপ আড়ালে বিভাজন চলে ঘৃণ্য।
যেই ঈশ্বরে ঘৃণা আনে স্বরে তাতে মানুষের কাজ কি?
সুভাষ সখিনা পোড়ে দোষ বিনা এ কোন আঁধার রাজ্যি?


মানুষকে কবে মানুষই ভাববে, হে দেশ বলবে আজ কি?


আর্যতীর্থ