। দ্রুপদের ভুল।


দ্রোণ যখন বৈরী কারো, তৈরী হওয়া দরকারী,
দ্রুপদরাজা ভাবতে বসেন, কই পাওয়া যায় বর তারই।
যজ্ঞ প্রবল  করেন রাজা, দ্রোণ-হন্তারক বীর চেয়ে,
পুত্রে সে যাগ শেষ হলো না, আগুন থেকে উঠলো মেয়ে।
মেয়ে পেয়ে কি দুঃখ হলো? বলেননি তা বেদব্যাস,
তবে কিনা , প্রকট হলো পুত্র চাওয়ার বদভ্যাস।
ধরেই নিলেন রাজা দ্রুপদ, শত্রু মারতে পুরুষ চাই,
সবাই জানে কি করলো বোন, কোনটুকুনি করলো ভাই।
কৃষ্ণা যতই কেন্দ্রে থাকুন, চাননি পিতা ঠিক ওঁকে
মারতে দ্রোণ কামনা তাঁর কেবল ধৃষ্টদ্যুম্নকে।
হারাননি সেই রাজার কুমার দ্রোণকে কোনো যুদ্ধতেই
কাটেন মাথা দৌড়ে গিয়ে, যখন হাতে অস্ত্র নেই।
এটুক ছাড়া গোটা ভারত আর করেছেন কার্য কি?
( সেনাপতি হওয়ার কারণ জামাতৃ ঔদার্য কি?)
কৃষ্ণ স্বয়ং বান্ধব যার, অজেয় বীর পাঁচ পতি,
সেই কন্যাও অনিচ্ছাতে, কেমন বিচার তাঁর প্রতি?


আছেন বহু কলির বলদ, কাটান জীবন এক ভ্রমে,
মেয়ে হয়েছে খবর পেলে, মুখের আলো যায় কমে।
তফাত কিসের, তফাত কেন, কেউ দেখেনা মন খুঁড়ে,
নষ্ট কত কন্যাজীবন ,নাম মুছে যায় অঙ্কুরে।
বংশ মানেই পিতৃপুরুষ, মানতে গিয়ে সে গুলকে,
আঁকড়ে ধরে আজও লোকে দ্রুপদরাজার সে ভুলকে।


একুশ শতক, ওপড়াবে না বিষের গাছের সে মূলকে?


আর্যতীর্থ